সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্যাংরা কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় তিলোত্তমা। খুন নাকি আত্মহত্যা? কারণ কী? এহেন একাধিক প্রশ্নের উত্তর হাতড়াচ্ছেন তদন্তকারীরা। গোটা ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কের বন্ধন আঁতসকাচের তলায়। এই পরিস্থিতিতে দে পরিবারের ছোট বউ রোমির মা দাবি করলেন, ওই ছজন এক আত্মা এক প্রাণ। তাঁদের কারওই অপরকে ছাড়া চলতই না। দে পরিবারের সকলেই খুব ভীতু স্বভাবেরও ছিলেন বলে দাবি বৃদ্ধার।
দে পরিবারের ছোট ছেলের স্ত্রী রোমির মা চিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যাংরা কাণ্ডে স্বাভাবিকভাবেই বিপর্যস্ত তিনি। তা সত্ত্বেও এদিন সংবাদ মাধ্যমের সামনে মুখ খুলেছেন বৃদ্ধা। চিত্রাদেবী জানান, দে পরিবারের সকলের নিজেদের মধ্যে বন্ধন ছিল অটুট। কারও অন্যকে ছাড়া এক মুহূর্তও চলত না। একসঙ্গে থাকা, ঘুরতে যাওয়া সবটাই করতেন তাঁরা। চিত্রাদেবী ও তাঁর স্বামীকে ভীষণ ভালোবাসতেন মেয়ের জা-ভাসুর সুদেষ্ণা ও প্রণয়। করোনা কালে দে বাড়িতেই ছিলেন তাঁরা। সোমবার রাতেও মেয়ের সঙ্গে কথা হয়েছিল। চিত্রাদেবীর দাবি, একেবারে স্বাভাবিক কথা হয়েছে। তারপর এই ঘটনা।
ট্যাংরা কাণ্ড খুন নাকি আত্মহত্যা, তা নিয়ে হাজারও প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে চিত্রাদেবীর মনেও। তবে দোষীর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন চিত্রা বন্দ্য়োপাধ্যায়। চাইছেন যতদ্রুত সম্ভব প্রকাশ্যে আসুক সত্যটা। উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ট্যাংরার শীল লেনে একই বাড়িতে পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়। ওই পরিবারেরই তিনজন গাড়ি দুর্ঘটনা করে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছিল আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সকলে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ঘটনাটি খুন। কিন্তু কেন, এই প্রশ্নরই উত্তর খুঁজছে তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.