সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতার রাস্তার এলোপাথাড়ি ঘোরাঘুরির পর মেট্রোর পিলার ধাক্কা। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি ট্যাংরার দে পরিবারের তিন সদস্য। তাঁদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। ভেঙেছে শরীরের একাধিক হাড়। তিনজনেরই বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে।
কী বলছে হাসপাতাল? কেমন আছেন দে পরিবারের তিন জীবিত সদস্য? জানা গিয়েছে, দে বাড়ির বড়ছেলে প্রসূনের পাঁজরের বেশ কয়েকটি হাড় ভেঙে গিয়েছে। কনুই থেকে কবজির হাড় সরে গিয়েছে। একাধিক বিশেষজ্ঞের অধীনে চিকিৎসা চলছে তাঁর। প্রণয়ের শারীরিক পরিস্থিতিও বিশেষ ভালো নয়। ভেঙেছে কোমরের হাড়। শরীরের একাধিক জায়গায় চোট রয়েছে। আইসিইউতে চিকিৎসা চলছে তাঁর। নাবালকেরও একাধিক জায়গায় লেগেছে। কবজিতে চোট রয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে ট্রমাও। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের অধীনে চিকিৎসা চলছে তারও।
উল্লেখ্য, বুধবার সকালে ট্যাংরার শীল লেনে একই বাড়িতে পরিবারের তিন সদস্যের দেহ উদ্ধার হয়। ওই পরিবারেরই তিনজন গাড়ি দুর্ঘটনা করে বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছিল আত্মহত্যা করতে চেয়েছিলেন সকলে। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে, ঘটনাটি খুন। এরপরই জানা যায়, ১৭ তারিখ রাতে একইসঙ্গে ঘুমের ওষুধ খায় দে পরিবারের ৬ সদস্য। কিন্তু পরেরদিন সকালে ঘুম ভাঙে প্রণয়, প্রসূন ও নাবালক পুত্র সন্তানের। কিন্তু তখনও নাকি ঘুমোচ্ছিলেন সুদেষ্ণ, রোমি ও মৃত নাবালিকা। এরপরই দুই বউয়ের হাতের শিরা কেটে খুন করা হয়।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.