গোবিন্দ রায়: শুধু নম্বর নয়, ভাঁড়ানো হয়েছে বয়সও। ২০১৬ সালের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court)। এবার ২১ জন চাকরিজীবীকে জিজ্ঞাসাবাদ করবে সিবিআই। বুধবার এমনই নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। একইসঙ্গে দুর্নীতির অভিযোগে পুরো প্যানেল বাতিল করার হুঁশিয়ারি দিলেন বিচারপতি।
২০১৬ সালের নবম-দশমের শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন শুভময় ভুঁইয়া-সহ ১৯৩ জন প্রার্থী। তাঁদের অভিযোগ, মেধার ভিত্তিতে চাকরি দেওয়া হয়নি। বহু চাকরিজীবী মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের নম্বর বেশি দেখিয়েছে। শুধু তাই নয়, বয়সেও কারচুপি করা হয়েছে বলে অভিযোগ তাদের।
এই প্রেক্ষিতেই এবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। এরপরই তাঁর হুঁশিয়ারি, “‘অনেক যোগ্য প্রার্থী রয়েছে, তাই প্যানেল বাতিল করছি না। না হলে পুরো প্যানেল বাতিল করে দিতাম।” ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গত, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে ওএমআর শিট বিকৃতি মামলায় সিবিআইয়ের পাশাপাশি এবার ইডিকে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আজকে অর্থাৎ বুধবারই ইডিকে তদন্ত শুরুর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এই মামলায় পক্ষভুক্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে মামলাকারীকেও।
ওএমআর শিট বিকৃত করে নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন (SSC) আদালতে জানিয়েছিল তাদের হিসেবে ১৮৩টি বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। আদালত জানতে চেয়েছিল এই ১৮৩ জনের মধ্যে কতজন চাকরি করছে? এদিন এসএসসি তরফে আদালতে জানানো হয়, ৮১ জন চাকরি করছে। বাকিদের নিয়োগপত্র দেওয়া হলেও কাজে যোগ দেয়নি। তবে বোর্ডের হিসেবে চাকরি করছে ৮০ জন। বাকি ১০০ জনেরও বেশি পদ শূন্য রয়েছে। এরপরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রার্থীদের মেধার ভিত্তিতে অবিলম্বে ওই শূন্যপদে নিয়োগ করতে হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.