সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এ বিশ্বের প্রতিটি কণায় শক্তির অস্তিত্ব। এই শক্তি স্রস্টার সৃষ্টিতেও থাকে। যা তাঁর কল্পনাকে প্রশ্রয় দেয়। এমনই প্রশ্রয় পেয়েছেন টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের পড়ুয়া ও শিক্ষকরা। তাই তো মানুষের বর্জ্য ভেবে ফেলে দেওয়া জিনিসগুলি দিয়েই তাঁরা তৈরি করেছেন দেবী দুর্গার (Durga Idol) প্রতিমা।
এবার বাংলার উৎসব মহালয়া থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। করোনার বাড়বাড়ন্তে গত দু’বছর পুজোর আনন্দ সেভাবে পায়নি বাঙালি। এবার পরিস্থিতি খানিকটা নিয়ন্ত্রণে। তাই দেবীপক্ষের শুরু থেকেই অনেকে ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে পড়েছেন। বাঙালির উৎসবের এই আনন্দেই বাড়তি মাত্রা যোগ হল টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের পড়ুয়া ও শিক্ষকদের বিশেষ উদ্যোগে।
ফেভিকল, রং, স্যানিটাইজার, রাসায়নিকের ড্রাম, প্রসাধনী দ্রব্যের বোতল, কোল্ড ড্রিঙ্কের বোতল, প্লাস্টিকের বাটি, নাট বল্টু— এমনই নানা পুনর্ব্যবহারযোগ্য জিনিস যা সাধারণত গৃহস্থের বাড়ি থেকে ফেলে দেওয়া হয়, সেই সমস্ত সামগ্রী দিয়েই মূর্তিটি তৈরি করা হয়েছে। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের স্কুল, কলেজ ও বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে ১৫ জন পড়ুয়া এবং আর্টের দু’জন শিক্ষক বিশাল এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। একমাস ধরে নিরন্তর পরিশ্রম করে মূর্তিটি তাঁরা তৈরি করেছেন।
টেকনো ইন্ডিয়ার সল্টলেক এলাকার মেন ক্যাম্পাসে মূর্তিটি বসানো হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে বিশেষ অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়েছিল। টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের কো-চেয়ারপার্সন অধ্যাপিকা মানসী রায়চৌধুরী অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। মূর্তি উন্মোচন হয় শিল্পী ব্রততী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Bratati Bandhopadhyay) হাতে। ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। এই কথাটি বাঙালির প্রাণের উৎসব দুর্গাপুজোর (Durga Puja 2022) ক্ষেত্রে একেবারে সুপ্রযুক্ত। বাঙালির এই পুজোকে ‘ইনট্যানজিবল কালচারাল হেরিটেজ অফ হিউম্যানিটি’ স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। সেই আনন্দকে আরও বাড়িয়ে দিল টেকনো ইন্ডিয়া গ্রুপের পড়ুয়া-শিক্ষকদের এই শিল্পকর্ম, এমনটাই মনে করেন মানসী রায়চৌধুরী। মানুষ সল্টলেক ক্যাম্পাসে গিয়ে বিশেষ এই দুর্গা প্রতিমা দেখতে পারে বলেই জানান তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.