নব্যেন্দু হাজরা: যাত্রীদের ভিড়ে মিশে সাদা পোশাকে চলন্ত মেট্রোয় নজরদারি চালাবে মহিলা RPF। মেট্রোর কামরায় ইভিটিজিং, ছিনতাইয়ের ঘটনা রুখতে জিন্স–টি–শার্টেই সাধারণ যাত্রী সেজে ঘুরে বেড়াবে আরপিএফের এই প্রমিলাবাহিনী। তাই কেউ কোনও বেয়াদপি করলেই তাঁর জায়গা হতে পারে সোজা শ্রীঘরে।
সাদা পোশাকের এই প্রমীলাবাহিনী ছাড়াও কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে প্রত্যেক গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে মোতায়েন থাকছে ক্যুইক রেসপন্স টিম। নজরদারিতে থাকছে ডগ স্কোয়াডও। পুজোর সময় যাত্রীদের যাতে কোনওরকম সমস্যা না হয়, সে কারণে থাকছে ট্রাবল স্যুটিং স্টাফও। কেউ অসুস্থ হলে তাঁর দেখাশোনায় থাকছে মেডিকেল টিম। পুজোর (Durga Puja 2021) চারদিন প্রায় সাড়ে আটশো আরপিএফকে মোতায়েন করা থাকছে পাতালপথে। তাঁরা দেখবেন, যাত্রীরা কোভিড (COVID-19) প্রোটোকল মানছেন কি না। এর পাশাপাশি নাশকতামূলক ঘটনার মোকাবিলায় সন্দেহজনক কাউকে মনে হলেই আটক করা হবে।
আগের মতো সারা রাত না চললেও পুজোর ক’দিন রাতের দিকে বাড়ছে মেট্রো পরিষেবা। সপ্তমী, অষ্টমী এবং নবমীতে রাত ১২টা পর্যন্ত চলবে মেট্রো। তবে সকালের দিকে সাড়ে সাত’টার বদলে মেট্রো পরিষেবা শুরু হবে সকাল ১০টায়। পুজোর সময়ও অবশ্য টোকেন ইস্যু করা হবে না। স্মার্ট কার্ডেই যাতায়াত করতে হবে যাত্রীদের। সে কারণেই অন্যান্যবার পুজোর মতো ট্রেনে ভিড় হবে না বলেই ধারণা মেট্রো কর্তৃপক্ষের।
তবে এই সময়ে প্রচুর মানুষ জেলা থেকে শহরে আসেন ঠাকুর দেখার জন্য। বেশিরভাগই পাতালপথ ব্যবহার করে শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে যান। কিন্তু অধিকাংশই ঠিকমতো রাস্তাঘাট চেনেন না। তাঁদের সাহায্য করার জন্য দক্ষিণেশ্বর, দমদম, শোভাবাজার, সুতানটি, সেন্ট্রাল, যতীন দাস পার্ক, কালীঘাট, রবীন্দ্র সরোবর এবং গীতাঞ্জলি স্টেশনে থাকছে আরপিএফ অ্যাসিস্ট্যান্স বুথ।
এছাড়া যে সমস্ত স্টেশনের আশেপাশে বড় পুজো প্যান্ডেল রয়েছে, সেখানে ক্যুইক রেসপন্স টিম এবং ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিমও থাকছে। কন্ট্রোলরুম থেকে চলবে সর্বক্ষণের নজরদারি। মেট্রোর তরফে জানানো হয়েছে ওই দিনগুলোয় ভিড়ের চাপ দেখে সিদ্ধান্ত হবে দুই মেট্রোর সময়ের ব্যবধান কমানো বা বাড়ানো হবে কিনা! তবে যাত্রীদের জন্য প্রত্যেক স্টেশনের টিকিট কাউন্টারে পৃর্যাপ্ত স্মার্ট কার্ড মজুত থাকছে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.