সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোনারপুরে ভরসন্ধ্যাবেলা ডাকাতি ও খুনের ঘটনায় এখনও অবধি পুলিশের জালে ধরা পড়ল তিনজন। আট দুষ্কৃতীকে আশ্রয় দেওয়া এবং সাহায্য করার অভিযোগে এক অটোচালক, এক মহিলা-সহ মোট তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম লাবলু সর্দার, মঞ্জিলা খান এবং আতিয়ার রহমান। এর মধ্যে অটোচালক আতিয়ারই আট দুষ্কৃতীকে আশ্রয় দেয় এবং তাদের সোনারপুর অবধি নিয়ে গিয়েছিল বলে জানা যাচ্ছে। রবিবার গোটা রাত তিনটি দলে ভাগ হয়ে ভাঙড়, বাসন্তি এবং সোনারপুরে তল্লাশি চালায় পুলিশ। তদন্তের সাহায্যে এগিয়ে এসেছে কলকাতা পুলিশও। তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয়েছে আগ্নেয়াস্ত্র এবং বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি। পুলিশের অনুমান, ডাকাতি করার আগে ওই এলাকা রেইকিও করেছিল দুষ্কৃতীরা। পরিকল্পনামাফিকই ওই সোনার দোকানে ডাকাতি করা হয়েছে। ধৃতদের জেরায় এই সংক্রান্ত আরও তথ্য উঠে আসছে বলে খবর।
এদিকে, ডাকাতদের ছোড়া এলোপাথাড়ি গুলিতে আহত হন এক গৃহবধূ। কিন্তু পরে তাঁকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে ভর্তি নিয়ে শুরু হয় টালবাহানা। এমনটাই অভিযোগ করেছে গৃহবধূর পরিবার। কেপিপি নার্সিংহোম এবং বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে টানাপোড়েনের জেরে গুলিবিদ্ধ মহিলার চিকিৎসা দেরিতে শুরু হয় বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত রাত ১ টায় ভর্তি করা হয় এসএসকেএম হাসপাতালে।
ঠিক কী ঘটেছিল এদিন? পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ভর সন্ধ্যায় থানা থেকে ঢিলছোড়া দূরত্বে দুঃসাহসিক ডাকাতি হয় সোনারপুরের একটি সোনার দোকানে৷ দোকানের মালিককে গুলি করে লুঠপাট চালায় আটজনের সশস্ত্র একটি দুষ্কৃতীদল৷ রীতিমতো হিন্দি সিনেমার কায়দায় আধঘণ্টার অপারেশন শেষ করে গুলি ছুড়তে ছুড়তে এলাকা ছাড়ে তারা৷ দুষ্কৃতীদের ছোড়া গুলিতে নিহত হন দোকানের মালিক দীপক দেবনাথ৷ আহত আরও তিনজন৷ আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের বাঙুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়৷ হাড়হিম করা এই ঘটনার জেরে গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে৷ এখনও থমথমে সেখানকার পরিবেশ। ভর সন্ধ্যায় জনবহুল বাজারে কীভাবে সবার সামনে দিয়ে দুষ্কৃতীরা দোকানে ঢুকে এই হামলা চালাল, তা নিয়ে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এই ঘটনার পর থেকেই উত্তাল হয়ে ওঠে সোনারপুর৷ স্থানীয় বাসিন্দা ও ব্যবসায়ীরা পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন৷
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.