Advertisement
Advertisement
Kolkata

ট্যাংরার পর হালতু, সন্তান-সহ একই পরিবারের তিনজনের রহস্যমৃত্যু! উদ্ধার সুইসাইড নোট

গৃহকর্তা পেশায় অটোচালক বলে জানা গিয়েছে। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।

Three of a family found dead at Haltu, Kolkata, suicide note found
Published by: Sucheta Sengupta
  • Posted:March 4, 2025 1:39 pm
  • Updated:March 4, 2025 2:06 pm  

নিরুফা খাতুন: ট্যাংরায় দে পরিবারের তিনজনের হত্যাকাণ্ড এখনও চর্চার কেন্দ্রে। নিজের পরিবারের তিন তিনজনকে খুনের পর আত্মহত্যার চেষ্টার অভিযোগে বাড়ির ছোট ছেলেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মাঝে এবার হালতুতেও একই ঘটনা নিয়ে চাঞ্চল্য। সেখানে বাড়ি থেকে উদ্ধার হল এক পরিবারের তিনজনের ঝুলন্ত দেহ। স্বামী-স্ত্রী ও আড়াই বছরের সন্তানের দেহ উদ্ধারের পাশাপাশি ঘর থেকে সুইসাইড নোটও পাওয়া গিয়েছে বলে খবর। গৃহকর্তা পেশায় অটোচালক বলে জানা যাচ্ছে।ঘটনার খবর পেয়ে তদন্তে নেমেছে কসবা থানার পুলিশ। 

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃত ব্যক্তির নাম সোমনাথ রায়, বয়স ৪০ বছর। মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী বছর পঁয়ত্রিশের সুমিত্রা রায় এবং আড়াই বছরের ছেলে রুদ্রনীলেরও। মঙ্গলবার কসবার পূর্বপল্লির বাড়ি থেকে তিনজনেরই ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিক অনুমান, সন্তানকে খুন করে মা-বাবা আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতদেহের পাশে সুইসাইড নোট পড়েছিল বলে জানা গিয়েছে। তবে তাতে ঠিক কী লেখা, সে বিষয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন তদন্তকারীরা। মৃতদেহ তিনটিকে  উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই পাড়ায় রীতিমতো শোরগোল পড়ে যায়। প্রতিবেশী, আত্মীয়রা একে একে জড়ো হন। প্রতিবেশীরা জানান, আর্থিক সমস্যায় ভুগছিল সোমনাথের পরিবার। বাজারে সম্প্রতি দেনা হয়ে গিয়েছিল। আবার আত্মীয়দের দাবি, সম্পত্তি নিয়ে পরিবারের সঙ্গে ঝামেলা চলছিল সোমনাথের। এসবের কারণে মানসিকভাবে কিছুটা বিধ্বস্ত ছিলেন তিনি। সেই কারণেই সপরিবারে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। পুলিশ জানিয়েছে, গোটা বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে জানানো যাবে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement