ছবি: প্রতীকী
রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: যাদবপুরেও করোনার থাবা। আবারও আক্রান্ত প্রসূতি। সন্তান জন্ম দেওয়ার পরেই টেস্ট করা হয় তাঁদের। তাতেই জানা যায় কে পি সি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি ওই তিন প্রসূতির করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। ওই প্রসূতিদের সংস্পর্শে আসা হাসপাতালের ১২ জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৪০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। শুরু হয়েছে হাসপাতাল জীবাণুমুক্তকরণের কাজ।
দিনকয়েক আগে কে পি সি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি হন ওই তিন প্রসূতি। সন্তানেরও জন্ম দেন তাঁরা। কোনও উপসর্গ ছিল না তাঁদের। করোনা পরীক্ষা করা হয়। রবিবার রিপোর্ট হাতে আসে। তা দেখে মাথায় হাত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কারণ, রিপোর্টে দেখা যায় ওই তিন মহিলার করোনা পজিটিভ। ওই তিন প্রসূতির সংস্পর্শে আসেন ১২জন চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৪০ জন। তাঁদের কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসাধীন তিন প্রসূতির করোনা হওয়ায় ওই হাসপাতালের পরিষেবা আংশিক বিপর্যস্ত।
এর আগে শহরে বেশ কয়েকজন প্রসূতির শরীরে মেলে করোনার জীবাণু। গত মাসে হাজরার চিত্তরঞ্জন সেবাসদনে প্রসবের জন্য ভরতি হন এক প্রসূতি। তাঁর শরীরে করোনার সমস্ত উপসর্গ ছিল। তাই তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। অস্ত্রোপচারও করা হয় তাঁর। মৃত সন্তান প্রসব করেন তিনি। তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে এসএসকেএমে পাঠানো হয়। রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যায় ওই মহিলা করোনা আক্রান্ত। তাঁকে টালিগঞ্জের এম আর বাঙ্গুর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তারও আগে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও এক প্রসূতির শরীরে মেলে করোনা ভাইরাস। প্রসবের পরই মায়ের শরীরে ভাইরাসের হদিশ পাওয়া যায়। যার জেরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ইডেন বিল্ডিংয়ে। তড়িঘড়ি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই বিল্ডিংটি। সেখানকার রোগীদের এনআরএস, আরজি কর এবং এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। ওই রোগীদের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা করার কথাও জানানো হয়েছিল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.