সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শেষ অধিবেশন বসেছে ২৩ মার্চ। লোকসভা এবং রাজ্যসভা দুই কক্ষেরই। নিয়ম অনুযায়ী তার ছ’মাসের মধ্যে আবার অধিবেশন বসার কথা। আগস্টে অধিবেশন বসতে পারে কিনা তা নিয়ে ইতিমধ্যে বিরোধীদের মতামত নিতে শুরু করেছে সরকার পক্ষ। লোকসভার অধ্যক্ষ ওম বিড়লাও (Om Birla) এ নিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগে মত নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Sudip Banerjee) সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। আগস্টে কোনও অধিবেশন বসুক চায় না তৃণমূল। সে কথা লোকসভার অধ্যক্ষকেও জানিয়ে দিয়েছেন সুদীপবাবু। তাঁর কথায়, “মতামত যখন চেয়েছেন আশা করি শুনবেন। দলের তরফ থেকে আমাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) বক্তব্য আমরা পরিষ্কার করে দিয়েছি। তবে যদি না শোনেন সেক্ষেত্রে আমরাও অসহায়। জোর করে অধিবেশন বসলে আমরা অনুপস্থিত থাকব।”
শুধু লোকসভাই নয়, প্রধানমন্ত্রীর ডাকে জনতা কারফিউর পর ওই একই দিনে শেষ অধিবেশন বসেছিল রাজ্যসভারও। নিয়ম অনুযায়ী সেখানেও ছ’মাসের মধ্যে অধিবেশন ডাকার কথা। যদিও সংসদের উচ্চকক্ষ নিয়ে কেউ এখনও তৃণমূলের কাছে কোনও মতামত চায়নি। তবে যা পরিস্থিতি, তাতে এখনই সংসদ বসানোর কোনও লক্ষণ নেই বলেই সূত্রের খবর। অধিবেশন বসলে কীভাবে করা সম্ভব তা নিয়ে একাধিক মত সামনে এসেছে। অনেকে পরামর্শ দিয়েছেন ভারচুয়াল সভা করার। কিন্তু তাতে রাজি হননি লোকসভার অধ্যক্ষ নিজেই। সুদীপবাবুর সঙ্গে কথা বলার ফাঁকেই নিজের মত জানিয়ে বলেছেন সকলকে সামনে বসিয়ে অধিবেশন করার পক্ষপাতি তিনি। সেক্ষেত্রে জোড়-বিজোড় হিসাবে লোকসভার সাংসদদের এনে অধিবেশন করানো যেতে পারে বলে আলোচনা হয়েছে। লোকসভার আসনসংখ্যা ৫৪৩। রাজ্যসভায় তার অর্ধেকেরও কম, ২৪৩। এই অবস্থায় লোকসভার সমস্ত সদস্যকে একসঙ্গে বসিয়ে অধিবেশনের জন্য সুবিশাল সেন্ট্রাল হলের কথাও ভাবা হয়েছে। আর রাজ্যসভার অধিবেশনের জন্য লোকসভার কক্ষ।
তবে সবটাই আলোচনার স্তরে রয়েছে। এখানেই তৃণমূলের পরামর্শ, সব কিছু চূড়ান্ত করতে চলতি মাসটা সময় নেওয়া হোক। সুদীপবাবুর কথায়, “বর্তমান পরিস্থিতিতে তাড়াহুড়ো করা ঠিক হবে না। অধিবেশন বসানো জরুরি। কিন্তু করোনার মধ্যে ঝুঁকি নেওয়াটাও উচিত হবে না।” ঠিক এই কারণেই রাজ্যসভার নতুন চার সাংসদ অর্পিতা ঘোষ, মৌসম নুর, সুব্রত বক্সি ও দীনেশ ত্রিবেদীদের শপথ নিতেও পাঠাননি তৃণমূলনেত্রী। একেবারে যেদিন অধিবেশন বসবে সেদিনই তাঁরা শপথ নেওয়ার কথা। তবে এর মধ্যে ২৬টি স্ট্যান্ডিং কমিটির মধ্যে ১২টির বৈঠক সারা হয়ে গিয়েছে সংসদে। কমিটির বৈঠকও ভারচুয়ালি করতে চায়নি সরকারপক্ষ। যুক্তি দিয়েছে নিরাপত্তার। তবে কমিটির বৈঠকে সদস্যসংখ্যা খুব কম হওয়ায় তা নিয়ে আর কেউ আপত্তি তোলেননি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.