গোবিন্দ রায়: আর দুবার আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসা করানো যাবে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের। চিকিৎসার সময় কোনও সাধারণ নাগরিক যাতে হাসপাতালে প্রবেশ না করতে পারেন, তা পুলিশকে নিশ্চিত করতে হবে। তাদের হেফাজতে থাকা প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বনমন্ত্রীর চিকিৎসার জন্য বিকল্প হাসপাতাল খুঁজতে হবে ইডিকে। বৃহস্পতিবার এমনই নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। আগামী ১৬ নভেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।
আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালের আইনজীবী অনামিকা পাণ্ডের বক্তব্য, “একজন সেনা যখন আসছেন, তখন তাদের সব তথ্য দিতে হয়। প্রচুর বাইরের লোক চলে আসছে। সেই তথ্য নষ্ট হতে পারে। কল্যাণী এইমস-সহ একাধিক হাসপাতাল আছে। সেখানে চিকিৎসা হতে পারে। হেফাজতে থাকা নেতা-মন্ত্রীদের পাশাপাশি চোরাকারবারিদের চিকিৎসা পরীক্ষার জন্য কম্যান্ডে পাঠানো হচ্ছে।” বিচারপতি সিনহার প্রশ্ন, “কত দিন অন্তর চিকিৎসা করতে হয়?” উত্তরে আইনজীবী জানান, একদিন অন্তর।
কম্যান্ড হাসপাতাল ছাড়া অন্য কোনও হাসপাতালে চিকিৎসা হতে পারে কিনা, তা জানতে চান বিচারপতি। তাঁর আরও পর্যবেক্ষণ, “আজ কম্যান্ড হাসপাতাল নিরাপত্তা নষ্টের দাবিতে মামলা করছে। বিএসএফের হাসপাতালেও সেই একই প্রশ্ন উঠতে পারে। দুটি কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এভাবে একে অপরের বিরোধিতা করতে পারে না।” ইডির আইনজীবী ধীরজ ত্রিবেদী জানান, কল্যাণী এইমসের দূরত্ব বেশি। বাকি হাসপাতালগুলি চিকিৎসার জন্য প্রস্তুত নয়। সব পক্ষের দাবি শোনার পর হাই কোর্টের নির্দেশ আরও দুবার কম্যান্ড হাসপাতালে জ্যোতিপ্রিয়র চিকিৎসা করা যাবে। সেই সময় হাসপাতালে ঢুকতে পারবেন না কেউ। নিরাপত্তার দায়িত্ব সামলাতে হবে পুলিশকে। আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে ইডিকে বিকল্প হাসপাতাল খোঁজার নির্দেশ হাই কোর্টের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.