ফাইল ছবি।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আতঙ্ক এখনও কাটেনি বউবাজারের বাসিন্দাদের। যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে বাড়ি। কয়েকদিনের আগে যে একের পর এক বাড়ি ভেঙে পড়ছিল, সেই ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয়, তাই মঙ্গলবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করতে এসেছিলেন বিশেষজ্ঞদের ৫ সদস্যের একটি দল। মোট ৭৪টি বাড়ি খতিয়ে দেখা হয়। কমিটিতে ছিলেন কেএমআরসিএলের একজন ইঞ্জিনিয়রও।
ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে বৈঠক করেন তাঁরা। বৈঠক শেষে সাংবদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিল্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান জানান, বউবাজারের বহু এলাকা ঘুরে দেখেন তাঁরা। কোন বাড়ি কতটা বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে, কোন বাড়ির অবস্থা কতটা গুরুতর তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে একজন নির্মাণকারী সংস্থার ইঞ্জিনিয়র ছিলেন। বিশেষজ্ঞরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, প্রথমে বাড়ি মেরামতির কাজ শুরু হবে। তারপর হাত দেওয়া হবে সুড়ঙ্গের কাজে।
এক সপ্তাহ আগে, গত রবিবার ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর সুড়ঙ্গের জন্য টানেল বোরিং মেশিনের কাজ চলাকালীন বউবাজারে ভেঙে পড়ে বাড়ি। আতঙ্ক তৈরি হয়। কেন এমন বিপর্যয়, তার তদন্তে নেমে বোঝা যায়, সুড়ঙ্গে জল জমে মাটির আলগা হয়েই বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বিপর্যয়ের দায় নিয়ে মেট্রো কর্তৃপক্ষ নতুন বাড়ি তৈরি এবং আপদকালীন আর্থিক সাহায্যের প্রতিশ্রতি অনুযায়ী তা দেওয়াও হয়। পরের দু, একদিনও আচমকা এভাবে বাড়ি ভেঙে পড়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দুর্গা পিতুরী লেন, স্যাঁকরা পাড়া, গৌর দে লেন জুড়ে আতঙ্ক বিরাজমান। পরিস্থিতি সামাল দিতে মুখ্যমন্ত্রী নবান্নে ডেকে মেট্রো কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বিস্তর আলোচনা করেন। সেখানেই স্থির হয়, সোমবার থেকে বিপজ্জনক বাড়িগুলি চিহ্নিত করে ভেঙে ফেলা হবে। সেইমতো কাজ শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল কেএমআরসিএল কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তার আগেই ফের বিপর্যয়। স্যাঁকরা পাড়া লেনের এই চারতলা বাড়ি ভেঙে পড়ল। যদিও এই বাড়ি ভাঙার তালিকায় ছিল বলে আগে থেকেই বাসিন্দাদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাই হতাহতের খবর নেই।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.