ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: চলতি সপ্তাহে তপসিয়ায় (Topsia) নিজের ঘর থেকে যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার পরিবারের তিনজন। ঘটনার তদন্তে নেমে বড় কাকা এবং বউদিকে গ্রেপ্তার করল তপসিয়া থানার পুলিশ। বছর তিরিশের যুবক অভিজিৎ রজককে খুনে এরাই জড়িত বলে নিশ্চিত হয়েছেন তদন্তকারীরা। সাইকেল চুরির গল্প ফেঁদে তারা নিজেদের দিক থেকে নজর ঘোরাতে চেয়েছিল বলে মনে করছে পুলিশ। যুবক খুনের নেপথ্যে উঠে আসছে সমবয়সি বউদির সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে লিপ্ত হওয়ার বিষয়টিও। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
গত সোমবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ পরিবারের সদস্যরা অভিজিৎকে শেষবার দেখেছিলেন। অভিজিৎ কিছুটা মানসিক ভারসাম্যহীন, চরিত্রও বিশেষ ভাল ছিল না বলেও জানা গিয়েছে। এরপর মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চারটে নাগাদ পরিবারের সদস্যরা দেখেন, বাড়ির মূল দরজার তালা ভাঙা। রক্তাক্ত অবস্থায় বিছানায় পড়ে রয়েছেন সে। সারা ঘর, বিছানা ভেসে যাচ্ছে রক্তে। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া পুলিশে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায় তপসিয়া থানার পুলিশ। তদন্তে নামে লালবাজারের হোমিসাইড শাখা (Homiside Branch)। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছিলেন, হয়ত গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে সাইকেল চুরির ঘটনা দেখে ফেলায় খুন করা হয়েছিল।
তবে ঘটনার চারদিন পর তদন্ত অন্যদিকে মোড় নেয়। সারারাত অভিজিৎ পাশের ঘরে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও কেন কেউ টের পেলেন না, এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়েই পুলিশ বুঝতে পারে, এতে বাড়ির সদস্যরাই জড়িত। প্রথমে বউদিকে গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার টানা ১২ ঘণ্টা জেরার পর সে স্বীকার করে, যে শ্বশুরের সঙ্গে মিলে খুন করেছে অভিজিৎকে। পুলিশকে বিভ্রান্ত করার জন্য সাইকেল চুরির গল্প ফেঁদেছিলেন। দু’জনকে গ্রেপ্তারের পর জেরা করে রহস্যের জট খুলতে তৎপর লালবাজারের হোমিসাইড শাখার তদন্তকারীরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.