সুব্রত বিশ্বাস: রেলকর্মীর মৃত্যু। আর এরপরই তাঁর দেহ টানাটানি দুই স্ত্রী ও তাঁদের সন্তানদের। যার জেরে চূড়ান্ত সমস্যার মুখে পড়ল কলকাতার বিআর সিং হাসপাতাল।
তবে বৈধ কাগজপত্র ঘেঁটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রথম পক্ষের স্ত্রীর হাতেই দেহ তুলে দেয় শনিবার। নিরুপায় দ্বিতীয় স্ত্রী কৃষ্ণা মণ্ডল স্বামীর মৃত্যুর পরই রেলের কাছে অর্ধেক আর্থিক সুবিধার দাবি করেছেন।
জানা গিয়েছে, হাওড়ার লোকো ইন্সপেক্টর রবীন্দ্রনাথ মণ্ডল গত ৩০ জুন অসুস্থতা নিয়ে বিআর সিং হাসপাতালে ভরতি হন। আজ, শনিবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। ছুটে আসেন দু’পক্ষের স্ত্রী এবং সন্তানরা। দু’দিক থেকেই ওই রেলকর্মীর দেহের দাবি করা হয়। যার জেরে রীতিমতো ধন্দে পড়ে যায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরে কাগজপত্র দেখে প্রথম স্ত্রীর অনুরাধা মণ্ডলের হাতেই দেহ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু এতেও হাল ছাড়েননি দ্বিতীয় স্ত্রী কৃষ্ণা মণ্ডল। সঙ্গে সঙ্গে তিনি হাওড়ার ডিআরএম ও সিনিয়র ডিইইকে জানান, তাঁর দুই ছেলে বিএ প্রথম বর্ষ ও দশম শ্রেণির ছাত্র। স্বামী প্রথম স্ত্রীর কাছে থাকলেও গুগল পে-তে প্রতি মাসে সাত হাজার টাকা করে পাঠাতেন। তাই স্বামী মারা যাওয়ায় তাঁর প্রাপ্য সুবিধার অর্ধেক তাঁর প্রাপ্য।
কার্যত দায় এড়িয়ে গিয়ে অবশ্য সিনিয়র ডিইই বলেন, ‘‘আজই আমি এই পদে যোগ দিয়েছি তাই বিষয়টি অজানা।’’ এদিকে রবীন্দ্রনাথ বাবুর সহকর্মীদের কথায়, দ্বিতীয় পক্ষের সন্তানরা যেহেতু তাঁর, তাই প্রথম পক্ষের সন্তানদের মতো সমান অধিকার তাঁদেরও। তাই রেল এক্ষেত্রে কী সিদ্ধান্ত নেয়, সেদিকেই তাকিয়ে মৃত রেলকর্মীর পরিবার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.