অর্ণব আইচ: লকডাউনের সময় প্রয়োজনের অতিরিক্ত গাড়ি শহরে। এবার কোনও প্রয়োজন ছাড়া বের হলেই কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পুলিশ আধিকারিকদের বার্তা দিলেন পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা। পুলিশ কমিশনারের বার্তা পেয়েই সতর্ক হলেন প্রত্যেক থানা ও ট্রাফিক গার্ডের আধিকারিকরা। রাস্তার মোড়ে মোড়ে প্রত্যেকটি গাড়ি ও বাইক থামিয়ে চালকদের জেরা করেছে পুলিশ। সারারাতও চলেছে নাকা চেকিং। বৃহস্পতিবারই ৯৮০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয় ৬৯৯ জনকে। ৫১টি গাড়ি আটক করা হয়।
লালবাজার জানিয়েছে, গত ২৪ মার্চ থেকে এখনও পর্যন্ত ৩ হাজার ৯৬৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথমদিন ধরা পড়েছিল ১ হাজার ৩ জন। এরপর সংখ্যাটি ৩৫ জনে নেমে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের মধ্যেই রাস্তায় বেড়ে চলছিল গাড়ি চলাচলের সংখ্যা। বহু মানুষও অকারণে বের হতে শুরু করেছিলেন রাস্তায়। এমনকী, আড্ডার মেজাজে ফুটপাথের উপর কেউ কেউ ক্যারাম খেলছেন, সেই দৃশ্যও দেখা গিয়েছিল। বৃহস্পতিবার পুলিশ কমিশনার প্রতিটি থানা ও ট্রাফিক গার্ডের ওসি এবং পদস্থ পুলিশ আধিকারিকদের বার্তা দিয়ে জানান, রাস্তায় অনেক গাড়ি ঘোরাঘুরি করছে। এমনকী, ‘পুলিশ’ বা ‘প্রেস’ লেখা গাড়ি হলেও। পারমিট ছাড়া বা অকারণে কেউ বাইরে বের হলে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করতে হবে।
পুলিশ কমিশনারের নির্দেশ, প্রত্যেক থানার ওসিকে নিজেদের এলাকায় মাইক নিয়ে প্রচার করতে হবে যাতে এই পরিস্থিতিতে শহরবাসী বাড়িতে থাকেন। লকডাউন ফলপ্রসূ করার জন্য চাপ দিতে হবে। এর পর পুলিশ কমিশনার সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে গ্রেফতারির সংখ্যা দিয়ে জানান, শহরবাসীকে আবেদন করা হচ্ছে লকডাউনের সময় প্রত্যেকে যেন বাড়িতেই থাকেন।এই বিষয়ে শহরবাসী যেন পুলিশকে সহযোগিতা করেন। লকডাউন লঙ্ঘনকারীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আটক হওয়া ৫১টি গাড়ির চালক ও আরোহীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কমিশনার লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে শক্ত হাতে কড়া ব্যবস্থা নিতে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
আর কমিশনারের বার্তা পেয়ে থানা ও ট্রাফিক গার্ডের পুলিশ প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে শুরু করেছে নাকা চেকিং। গত কয়েকদিনে বেশি সংখ্যক গাড়ি ও বাইক চলতে শুরু করে রাস্তায়। এবার প্রত্যেক বাইক ও গাড়িকে দাঁড় করিয়ে চালকদের চলছে জেরা। চালকদের অনুমতিপত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কেউ সঙ্গে ভুয়ো অনুমতিপত্র রেখেছেন কি না, সেই বিষয়ের উপরও জোর দেওয়া হয়। মালবাহী গাড়িগুলি ই-পাস নিয়েছে কি না, তাও পুলিশ দেখে। তবুও বহু বাইক ও গাড়ি আরোহী হাসপাতাল, ব্যাংক, ওষুধ কেনা ও বাজারে যাওয়ার নাম করে বেরিয়েছেন। তাঁদের ধরা হয়। এ ছাড়াও অকারণে বাজার বা দোকানে যাওয়ার নাম করে বের হলে তাঁকেও ধরা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.