সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজভবনের নির্দেশিকায় ফের বিতর্ক। তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল বেনজির সংঘাত। রাজভবনের নয়া নির্দেশিকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর থেকে আরও নিয়ন্ত্রণ কমল রাজ্য সরকারের। এছাড়া উপাচার্যের পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপর নিজের নিয়ন্ত্রণও বৃদ্ধি করলেন তিনি। সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশিকা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই চলছে জোর আলোচনা।
শনিবারই রাজভবন থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি হয়। ওই বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আচার্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলির সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে উপাচার্যের হাতে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, সহ উপাচার্য এবং অন্যান্য কর্তাদের উপর সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের হাতে। রাজ্য সরকার যেকোনও নির্দেশ দিতেই পারে। তবে সেই নির্দেশ মানতে বাধ্য নন উপাচার্য। সুতরাং এই নির্দেশিকা অনুযায়ী রাজ্য শিক্ষাদপ্তরের যেকোনও নির্দেশ উপাচার্য মান্যতা দিলেই তবেই কার্যকর হবে।
শনিবার রাতে রাজভবন থেকে আরেকটি নির্দেশ জারি করে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের ক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়। কয়েকদিন আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপের পর ঝাড়গ্রামের সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার, কন্ট্রোলার অফ এগজামিনেশন এবং ফিনান্স অফিসারের পদপূরণ করা হয়। এই পদগুলি শূন্য থাকায় বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনায় সমস্যা হচ্ছিল। তা নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজ্যপাল সমস্ত ফাইল আটকে রাখছেন।
মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভপ্রকাশ করার পরই উচ্চশিক্ষা দপ্তর বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রারকে ঝাড়গ্রামের বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের অতিরিক্ত দায়িত্ব দেন। আরও দুই পদে ডেপুটেশনে আধিকারিক আনা হয়। শনিবার রাজভবনের নির্দেশে উচ্চশিক্ষা দপ্তরের নির্দেশকে খারিজ করা হয়। নির্দেশে বলা হয় উপাচার্যর অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার বা কোনও আধিকারিক কোনও কাজ বা দায়িত্ব গ্রহণ করতে পারবেন না। স্বাভাবিকভাবেই একের পর এক নির্দেশিকায় তুঙ্গে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত। বিজেপি নেতৃত্বের আরও কাছে পৌঁছতে ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যপাল এসব করছেন বলেই মত তৃণমূলের।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.