দীপঙ্কর মণ্ডল: করোনা সতর্কতায় বন্ধ রয়েছে স্কুল। আগামী শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পড়ুয়াকে পাশ করিয়ে দেওয়ার নির্দেশ আগেই দিয়েছে রাজ্য সরকার। এবার নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ভারচুয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা করছে রাজ্য। এ প্রসঙ্গে শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় জানান, ৭ থেকে ১৩ এপ্রিল বিকেল চারটে থেকে পাঁচটা দূরদর্শনে বিভিন্ন বিষয়ে ক্লাস করাবেন শিক্ষকরা। এদিকে চলতি শিক্ষাবর্ষে প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত সমস্ত পড়ুয়াকে পাশ করিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল আইসিএসই বোর্ডও। এর আগে CBSE বোর্ডও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।
জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টালে ই-মেল করে, হোয়াটস অ্যাপে বা ফোন করে ভারচুয়াল ক্লাসে প্রশ্ন করতে পারবে ছাত্রছাত্রীরা। ১৮০০১০৩৭০৩৩ নম্বরটি এডুকেশন হেল্পলাইন হিসাবে চালু থাকবে বলে এদিন জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। পার্থবাবু এদিন আরও জানিয়েছেন, ক্লাস এইট পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীদের হোম টাস্ক দেওয়া হবে। বাংলার শিক্ষা পোর্টালে বিষয় অনুযায়ী হোম টাস্ক দেওয়া হবে। স্কুল খোলার পর শিক্ষকদের তা দেখাতে হবে প্রতিটি ছাত্র-ছাত্রীকে।
অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পাস-ফেল তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার শিক্ষামন্ত্রীর ঘোষণার পর অনেকেই বলেছিলেন, এই সিদ্ধান্তের জেরে ছাত্রছাত্রীরা আর পড়বে না। তারা পড়াশোনাকে হালকা ভাবে নিতে পারে। সবাই যদি জেনেই যায় পরের ক্লাসে উঠে যাবে তাহলে সারা বছর পূর্ণ উদ্যমে পড়াশোনা করবে না। শিক্ষা মহল মনে করছে, সেসব কথা বিবেচনা করেই ক্লাস এইট পর্যন্ত ছাত্রছাত্রীদের হোম টাস্কের সিদ্ধান্ত নিল সরকার। নবম-দ্বাদশ শ্রেণির ছেলে-মেয়েরা ইমেল এবং হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে প্রশ্ন করতে পারবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী। সেই ইমেল আইডি বা হোয়াটস অ্যাপ নম্বরও দেওয়া হবে বাংলার শিক্ষা পোর্টালে। শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলি ইতিমধ্যে প্রযুক্তির সাহায্যে ক্লাস নিচ্ছে।
দেশজুড়ে নোভেল করোনা ভাইরাসের দাপট এখন বড় মাথাব্যথার বিষয়। সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার বিপদ টের পেতেই দেশের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল প্রশাসন। বিভিন্ন রাজ্যেও এই সিদ্ধান্ত লাগু হয়েছিল। মার্চ মাসের মাঝামাঝি ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরে মাঝপথেই স্থগিত হয়ে যায় উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষাও। ১৫ এপ্রিলের পর নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.