ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গোটা দেশ তাকিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একুশের ভাষণের দিকে। কী বলবেন নরেন্দ্র মোদির ‘চ্যালেঞ্জার’? লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলে একুশের কর্মসূচি নিয়ে দেশজোড়া এই চাহিদা উপলব্ধি করেই মমতার ভাষণ ফেসবুকে লাইভ দেখানোর সিদ্ধান্ত নিল তৃণমূল কংগ্রেস!
সব মিলিয়ে ৪৪টি পেজে তৃণমূলনেত্রীর এই ভাষণের লাইভ চলবে। তার মধ্যে ৪২টি লোকসভা ভিত্তিক পেজ। বাকি দু’টির মধ্যে একটি তৃণমূলের অফিসিয়াল পেজ। অন্যটি একুশে জুলাইকে কেন্দ্র করে তৈরি হওয়া ইভেন্ট পেজ। ২৫ বছর পূর্তিতে দেশ-বিদেশের সর্বত্র দলের এই গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচি লাইভ দেখাবে রাজ্যের শাসকদল।
[আরও বড় হচ্ছে বি আর সিং হাসপাতাল, আধুনিক হচ্ছে চিকিৎসা ব্যবস্থা]
একদিকে ২৫ বছর পূর্তি, অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি। এবারের কর্মসূচি তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। সম্প্রতি দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সিও জানিয়ে দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী লোকসভা ভোটের চূড়ান্ত বার্তা দেবেন এই সভা থেকে। তার জন্য সর্বস্তরে ইতিমধ্যে বার্তা পৌঁছে গিয়েছে। রেকর্ড ভিড়ের জন্যও আলাদা প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, আগেরবারের সব রেকর্ড ভেঙে যাবে এবারের ভিড়।
মেদিনীপুরে প্রধানমন্ত্রীর সভার পালটা সভা করার কথা আগেই জানিয়েছে তৃণমূল। মেদিনীপুর শহরে ওই মাঠেই সভা করবে তৃণমূল। তার মধ্যে প্রধানমন্ত্রী মেদিনীপুরের সভায় দাঁড়িয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর দিকে আঙুল তুলেছেন। স্বাভাবিকভাবেই একুশের মঞ্চ থেকে তার জবাব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। তবে শুধু তারই জবাব নয়, জাতীয় স্তরে লোকসভায় লড়াইয়ের সার্বিক বার্তা ওই মঞ্চ থেকে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলতে গেলে গোটা দেশের নজর থাকবে শনিবারের মঞ্চে। ফলে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ হয়ে উঠেছে এই সভা। ঠিক এই কারণেই দেশজুড়ে সকলের সামনে তুলে ধরতে ফেসবুক লাইভের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলের এক সিনিয়র নেতার কথায়, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন তৃণমূলনেত্রী বা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শুধু নন। তিনি জাতীয় নেত্রী। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে, জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে, দুর্নীতির সরকারের বিরুদ্ধে এখন লড়াইয়ের প্রধান মুখ। গোটা দেশ তাঁর দিকে তাকিয়ে। সে কথা ভেবেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
[মানবশরীরে রং-তুলিতে সনাতনী ছোঁয়া, বিশ্বমঞ্চে চতুর্থবার সেরা বাংলার শিল্পী]
ফেসবুকে লাইভের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল পঞ্চায়েত ভোটের আগে। সে সময় দলের সিনিয়র নেতা, সাংসদ, মন্ত্রী, বিধায়করা প্রত্যেকে লাইভে বক্তব্য রেখেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর সাক্ষাৎকার, দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার ভাষণ, কর্মসূচি বা সরকারি নানা প্রকল্প একের পর দলের সেই ৪২টি পেজে তুলে ধরা হচ্ছিল। তার সঙ্গে একুশের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে এবার আরও বড় দায়িত্ব নিয়ে নামছে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া সেল। এর মধ্যে প্রায় প্রতিদিনই আয়োজক হিসাবে অভিষেক একাধিক এলাকা ঘুরে দেখছেন। আলিপুরের উত্তীর্ণ, কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, বাইপাসের মিলনমেলা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা দলের কর্মী-সমর্থকদের রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। মঙ্গলবার সেই সমস্ত জায়গা ঘুরে দেখেন অভিষেক।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.