শুভঙ্কর বসু: একশো মিটারের ‘নিষেধাজ্ঞা’ বলে কিছু নেই। বুথের ভিড় নিয়ন্ত্রণে রাজ্য পুলিশকেই রাখা হবে। শনিবার নির্বাচন কমিশন (Election Commission of India) সূত্রে একথা জানা গিয়েছে। সূত্রের খবর, ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের সার্বিক নিরাপত্তার ভার আধাফৌজের হাতে থাকছে ঠিকই। তবে ভোটদাতা স্থানীয় জনতার সঙ্গে জওয়ানদের যাতে কোনও ভাষাগত সমস্যায় পড়তে না হয়, মূলত সেই লক্ষ্যেই রাজ্য পুলিশকে বুথের দোরগোড়া পর্যন্ত প্রবেশাধিকার দেওয়া হচ্ছে।
বস্তুত, বুথের একশো মিটারের মধ্যে রাজ্য পুলিশকে (State Police) পা ফেলতে দেওয়া হবে না, এমন কোনও সিদ্ধান্ত কমিশনের তরফে কখনওই নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক সঞ্জয় বসু। যদিও ইতিমধ্যেই এনিয়ে রাজনৈতিক দড়ি টানাটানি শুরু হয়েছে। বিরোধী দল বিজেপির দাবি, বুথে শুধুমাত্র আধাসেনাকেই নিয়োগ করতে হবে। যার বিরোধিতা করে দিল্লিতে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ভাষাগত সমস্যার প্রসঙ্গ টেনে বুথে রাজ্য পুলিশ রাখার জোরালো দাবি জানিয়েছে তারা।
যদিও কমিশনের দাবি, সামগ্রিক পরিস্থিতি বিচার-বিবেচনা করে পরিকল্পনা নির্ধারিত হয়। পর্যাপ্ত ও প্রয়োজনমতো আধাসেনা ও রাজ্যপুলিশের জওয়ানদের নিয়োগ করা হয়। জানা গিয়েছে, প্রথম দফায় মাও অধ্যুষিত ঝাড়গ্রাম-সহ তিন জেলার ৩০ আসনে দশ হাজারের কিছু বেশি আসনে ৮ হাজার ৯২৬ জন লাঠিধারী রাজ্য পুলিশ নিয়োগ করা হবে। এঁরা মূলত ভোটার লাইন সামলানোর কাজ করবেন। এছাড়াও ১১২ ইনস্পেক্টর পদমর্যাদার আধিকারিককে রাখা হচ্ছে নিরাপত্তার সার্বিক দায়িত্বে। সেক্টর অফিস-সহ বিভিন্ন জায়গায় তাঁরা দায়িত্ব সামলাবেন। এছাড়াও রাজ্য পুলিশের ১৪৭০ এসআই ও এসআই পদমর্যাদার আধিকারিক নিয়োগ থাকবেন। সব মিলিয়ে মোট ১১ হাজার ৪১৫ রাজ্য পুলিশ আধিকারিক নিয়োগ থাকবেন প্রথম দফার নির্বাচনে।
এদিকে এবার একমাত্র ঝাড়গ্রাম জেলাকেই মাও অধ্যুষিত এলাকা বলে চিহ্নিত করেছে কমিশন। ঝাড়গ্রামে মোট বুথ সংখ্যা ১ হাজার ৩০৭। এই জেলায় যেখানে একটি মাত্র বুথ রয়েছে সেখানে থাকবে চারজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে রাজ্য পুলিশের এক লাঠিধারী পুলিশ। যেখানে থাকবে দুই, তিন ও চারটি বুথ, সেখানে থাকবে আটজন করে কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে বুথপিছু একজন লাঠিধারী পুলিশ। এছাড়াও যেখানে ৫ থেকে ৯ টি থাকবে সেখানে থাকবে দেড় সেকশন অর্থাৎ ১২ জন আধাসেনা জওয়ান। এবং যে সমস্ত এলাকায় নয়টির বেশি বুধ থাকবে, সেখানে থাকবে দুই সেকশন অর্থাৎ ১৬ জন কেন্দ্রীয় বাহিনী। সঙ্গে ভোটার লাইন সামলানোর জন্য থাকবে সেই সংখ্যক লাঠিধারী পুলিশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.