ছবি: পিণ্টু প্রধান
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সংঘাত ভুলে প্রোটোকল মেনে রাজভবনের চা চক্রে যোগ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বিকেল ঠিক চারটে নাগাদ মুখ্যমন্ত্রী সেখানে পৌঁছন। রাজ্যপালের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা হয় তাঁর। ওই চা চক্রে আমন্ত্রিত বিভিন্ন মহলের বিশিষ্ট অতিথিদের সঙ্গে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। কথাও বলেন তিনি।
নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর সাধারণতন্ত্র দিবসে (Republic Day) রাজভবনে চা চক্রের আয়োজন করেন রাজ্যপাল। চলতি বছরেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও আমন্ত্রণ জানান ধনকড়। প্রোটোকল মেনে মঙ্গলবার বিকেল চারটে নাগাদ রাজভবনে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী। সঙ্গে ছিলেন মুখ্যসচিব, স্বরাষ্ট্রসচিব, রাজ্যপুলিশের ডিজি-সহ শীর্ষ প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। রাজভবনে ঢোকার কিছুক্ষণের মধ্যে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। কথা বলেন দু’জনে। এছাড়াও এদিনের চা চক্রে উপস্থিত ছিলেন সমাজের বিভিন্ন মহলের বহু বিশিষ্ট কর্তাব্যক্তি। তাঁদের সঙ্গে দেখা হয় মুখ্যমন্ত্রীর। কথাও বলেন। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলে চা চক্র। এর আগে সকালে রেড রোডে সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানেও রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ হয় মুখ্যমন্ত্রীর।
দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে রাজ্য সরকারের সঙ্গে বারবার সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankhar)। কখনও প্রশাসনিক আবার কখনও শিক্ষাক্ষেত্রে দুর্নীতির অভিযোগে সুর চড়িয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান। রাজভবন এবং নবান্নের মধ্যে চিঠি চালাচালি কিংবা টুইট যুদ্ধ নতুন কোনও বিষয় নয়। অনেক ক্ষেত্রে একাধিক অভিযোগে শীর্ষস্থানীয় প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিদের তলবও করেছেন রাজ্যপাল। তবে কেউ দেখা না করায় সংঘাত আরও বেড়েছে। রাজ্যপাল আদতে গেরুয়া শিবিরের সমর্থনে কাজ করছেন বলেই শাসক শিবিরের অনেকেই অভিযোগ করেছেন। সম্প্রতি সংঘাত এতটাই গভীর হয় যে রাজ্যপালের অপসারণের দাবিতে সরব হয় তৃণমূল। এই প্রেক্ষাপটে সাধারণতন্ত্র দিবসে ঘুচল সংঘাত। পরিবর্তে রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর সুসম্পর্কের ছবিই ধরা পড়ল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.