দীপঙ্কর মণ্ডল: রাজ্য প্রশাসনের প্রতি নিজের অসন্তোষ জ্ঞাপন অব্যাহত রাখলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় (Jagdeep Dhankar)। শনিবার তিনি রাজভবনে মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী এবং স্বরাষ্ট্রসচিব বিপি গোপালিকার সঙ্গে দীর্ঘ বৈঠক করেন। কলকাতা পুরভোটের আগে তড়িঘড়ি রাজ্যের দুই শীর্ষ আমলাকে তলব করা নিয়ে সরগরম হয় রাজ্য রাজনীতি। সরকারি আধিকারিকরা এ নিয়ে মুখ না খুললেও নিজেই টুইট করে দীর্ঘ বৈঠকের নির্যাস জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
গত অক্টোবরে বিএসএফ (BSF)-এর এক্তিয়ার বৃদ্ধি করেছে কেন্দ্র। সীমান্ত থেকে ৫০ কিলোমিটার ভিতর পর্যন্ত এখন সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনীর এক্তিয়ার। প্রতিবাদে রাজ্য চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকারকে। বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে নিন্দা প্রস্তাব। এদিন মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্রসচিবকে বিএসএফের কাজে সহযোগিতার নির্দেশ দেন ধনকড়। এছাড়াও রাজ্যের বিভিন্ন প্রশাসনিক নিয়োগ ও মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব (সংবিধানের ধারা ১৬৬ ও ১৬৭) নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পদাধিকার বলে রাজ্যপাল রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য। তাঁর সম্মতি ছাড়াই রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ হচ্ছে বলেও এদিন ক্ষোভ প্রকাশ করেন ধনকড়।
সকালেও বিএসএফ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন রাজ্যপাল। বলেন, “বিএসএফ ও বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা নিয়ে রাজ্য সরকারের আনা প্রস্তাব সম্পর্কে জানতে চেয়েছি। কিন্তু কোনও সদুত্তর পাইনি। স্থানীয় পুলিশ ও বিএসএফ মিলে একসঙ্গে কাজ করুক। তবেই অপরাধ দমন সম্ভব।’’
রাজ্যপাল বিধানসভার স্পিকারের উদ্দেশে রাজ্যপালের বার্তা, ‘‘অধ্যক্ষ বিধানসভায় তাঁর পদের গরিমা রাখুন। আশা করি উনি পদের গরিমা রাখবেন ও নিজের দায়িত্ব পালন করবেন।’’ হাওড়া ও বালি পুরসভাকে পৃথক করা নিয়েও সরব হন ধনকড়। এই নিয়ে রাজ্য সরকারের বিধানসভায় আনা বিল প্রসঙ্গে ধনকড়ের দাবি, তিনি ওই বিলের সম্পর্কে রাজ্য সরকারের কাছে গত ২৪ নভেম্বর তথ্য চেয়েছিলেন কিন্তু বিধানসভা বা সরকারের তরফে তাঁকে কিছুই জানানো হয়নি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.