ফাইল ছবি।
ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর জি করের তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের পর প্রকাশ্যে সন্দীপ ঘোষের একের পর এক ‘কুকীর্তি’। এবার সামনে এল আরও এক অভিযোগ। তাঁর মদতেই নাকি হাসপাতাল চত্বরে বিনা লাইসেন্সে গজিয়ে ওঠে একের পর এক দোকান। আর ওই দোকানেই নাকি ঘাঁটি গাড়ত বহিরাগতরা। তার ফলে হাসপাতালের নিরাপত্তায় বড়সড় গলদের আশঙ্কাও থাকত। এই সমস্য়া মেটাতে এবার কড়া পদক্ষেপ রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তরের। বেআইনিভাবে গজিয়ে ওঠা দোকান সরিয়ে ফেলার ভাবনা।
বৃহস্পতিবার কলেজ কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। ওই বৈঠকেই আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের বর্তমান অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে বেআইনিভাবে তৈরি হওয়া দোকানগুলির কথা বলা হয়। এমএসভিপি সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায় এবং কলেজ কাউন্সিলের সদস্যরা এ বিষয়ে উপযুক্ত পদক্ষেপের কথা বলেন। ওই বৈঠকে উঠে আসে আর জি করের অ্যাকাডেমিক বিল্ডিংয়ের পাশে থাকা একটি জেরক্সের দোকানের কথা। যেটি নাকি একসময় ছাত্রছাত্রীর সুবিধার কথা মাথায় রেখে কম খরচ থিসিস জেরক্সের জন্য় খোলা হয়েছিল। তবে অভিযোগ, সন্দীপের একচ্ছত্র আধিপত্য ছিল জেরক্সের দোকানে। সেখান থেকে ছাত্রছাত্রীরা সুবিধা পেতেন না। পরিবর্তে দলীয় কার্যালয়ের মতো ব্যবহার হত দোকানটি। তরুণী চিকিৎসক ধর্ষণ ও খুন কাণ্ডের পর থেকে নাকি জেরক্সের দোকানটি বিনা নোটিসে বন্ধ। কারণ নিয়ে স্বাভাবিকভাবে জটিলতা রয়েছে।
ওই জেরক্সের দোকানের মতো আরও একাধিক দোকানের কথা বৈঠকে উঠে আসে। সবকটি বিনা লাইসেন্সে গজিয়ে ওঠা বলেই অভিযোগ। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী সাতদিনের মধ্যে ওই দোকানগুলিকে নোটিস দেওয়ার কাজ হয়ে যাবে। আর তার পরই সেগুলিকে সরিয়ে দেওয়ার তোড়জোড় শুরু হবে। তবে ট্রেড লাইসেন্স যদি কোনও ব্যবসায়ীর থাকে, তবে তাঁকে তা পুনর্নবীকরণের সুযোগও দেওয়া হবে বলেই খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.