নব্যেন্দু হাজরা: একশো দিনের প্রকল্প, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার কাজ নিয়ে কেন্দ্র প্রশ্ন তুললেও দিল্লির কাছে প্রশংসিত হয়েছে বাংলার স্বচ্ছ ভারত মিশনের কাজ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সচিব রাজ্যে এসেও সেকথা জানিয়ে গিয়েছেন। আর এবার স্বচ্ছ ভারত মিশনে বাংলা কীভাবে কাজ করেছে, তা অন্যান্য রাজ্যের কাছে তুলে ধরতে চায় দিল্লি। তাই শুক্রবার থেকে যোগীরাজ্যে শুরু হওয়া এক সেমিনারে যোগ দিতে যাচ্ছেন রাজ্যের পঞ্চায়েত দপ্তরের আধিকারিকরা। দুদিন ব্যাপী অনুষ্ঠানে এই প্রকল্পের কাজ বাংলায় কীভাবে হয়েছে, তাই অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরা হবে। বাংলার স্বচ্ছ ভারত মিশনের ডিরেক্টর সন্তোষা গুব্বির নেতৃত্বে একটি দল সেখানে যাচ্ছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, সম্প্রতি রাজ্যে এসেছিলেন কেন্দ্রের জলশক্তি মন্ত্রকের প্রধান সচিব বিনি মহাজন। একাধিক জেলার কাজ ঘুরে দেখে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যসচিব বি পি গোপালিকার সঙ্গে। সেখানে বাংলায় স্বচ্ছ ভারত মিশনের কাজের অগ্রগতি নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। আর এবার কেন্দ্রের তরফে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বাংলার আধিকারিকরা তাঁদের কর্মপদ্ধতি তুলে ধরবেন গোটা দেশের সামনে। নবান্নের কর্তারা জানাচ্ছেন, প্রধানমন্ত্রী আবাস বা একশো দিনের কাজের প্রকল্পে কেন্দ্রীয় বরাদ্দ বন্ধ থাকলেও, স্বচ্ছ ভারত মিশন-সহ অন্য একাধিক প্রকল্পে তা চালু রয়েছে। মিশনভিত্তিক এই প্রকল্পে অর্থের অভাবও নেই।
কাজও চলছে দ্রুততার সঙ্গে। রাজ্যের অগ্রগতিও সন্তোষজনক। জলশক্তি মন্ত্রক মাস চারেক আগে রাজ্যকে লিখিতভাবে জানিয়েছে, ঘরে ঘরে শৌচালয় তৈরি এবং কঠিন ও তরল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পরিকাঠামো গড়ার প্রশ্নে এ রাজ্যে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অগ্রগতি ‘সেরা’-র তালিকায় জায়গা পেয়েছে। এক আধিকারিকের কথায়, ‘প্লাস্টিক ব্যাগ ব্যবহার বন্ধ-সহ গ্রামীণ এলাকায় আবর্জনার সমস্যা দূর করতে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প গড়ায় জোর দেওয়া হয়েছে। তৈরি হয়েছে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট সেল। এই দুই কাজই প্রশংসা কুড়িয়েছে দিল্লির কর্তাদের। তা কীভাবে সম্ভব হয়েছে, তাই অন্যান্য রাজ্যের প্রতিনিধিদের সামনে তুলে ধরবেন এরাজ্যর আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.