সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিজেপি (BJP) বিরোধী জোট গঠন প্রক্রিয়ার মাঝে সম্পর্কে অবনতি চান না। তাই বৃহত্তর স্বার্থে গ্রাম বাংলার ভোটে (WB Panchayat Poll 2023) প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টির শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচনে আপের (AAP) নামে ১৩টি প্রার্থী পড়েছে। পঞ্চায়েত সমিতিতে দেখা যাচ্ছে আপের ৪ জন প্রার্থী। আবার গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে আপের প্রতীকে প্রার্থী হয়েছেন ৯ জন।
মে মাসেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করে গিয়েছেন আপ প্রধান তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। রাজধানীর প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ হাতে রাখতে কেন্দ্র যে অধ্যাদেশ জারি করে সংসদে তা ঐক্যবদ্ধভাবে আটকাতে আলোচনা হয়। সেইসঙ্গে লোকসভার আগে বিজেপি বিরোধী যে জোট গঠনের প্রক্রিয়া চলছে তা নিয়েও আলোচনা হয়। তারপরই আপ নেতৃত্বের তরফে ঘোষণা করা হয়, বাংলার গ্রামীণ নির্বাচনে তারা প্রার্থী দেবে না। প্রশ্ন উঠছে, বৃহত্তর ঐক্যের স্বার্থে প্রার্থী না দেওয়ার কথা ঘোষণার পরও কেন আপের টিকিটে ১৩ জন ভোটে দাঁড়িয়ে গেলেন?
বাংলার আপ নেতৃত্ব বলছে, এই ১৩ জনকে দল টিকিট দেয়নি। এরা কারা সেটাও দল জানে না। নিজেদের মতো করে আপ আদমি পার্টির নামে ভোটে দাঁড়িয়ে পড়েছেন এরা। দায়িত্বপ্রাপ্ত আপের কেন্দ্রীয় নেতা সঞ্জয় বসু এক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “কারা কোথায় প্রার্থী দিয়েছে, আমরা দলের পক্ষ থেকে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেছি। আগেই আমরা সর্বদল বৈঠকে জানিয়ে দিয়েছিলাম যে আপ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে না। তার পরেও কী ভাবে আপের নামে কেউ মনোনয়ন জমা দিতে এলে তা গ্রহণ করা হয়েছে তা বুঝতে পারছি না।”
আপ নেতৃত্বের বক্তব্য, তাঁরা নির্বাচন কমিশনে চিঠি দেবেন, যাতে ওই ১৩ জনের মনোনয়ন বাতিল করা হয়। এমনকী, এরা কারা সেটা খুঁজে বের করে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার দাবিও জানাচ্ছে আপ নেতৃত্ব। তাঁদের বক্তব্য, একটি জাতীয় দলের প্রতীক চুরি করে এভাবে যারা নির্বাচনে লড়তে নেমে পড়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে FIR দায়ের হওয়া উচিত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.