সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রায় মাসখানেক জেলবন্দি রাজ্যের একমাত্র আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। জেলে রয়েছেন আইএসএফের আরও ৮৭ জন সমর্থক। যা নিয়ে এদিন বিস্ময় প্রকাশ করেছে খোদ কলকাতা হাই কোর্ট। তবুও জামিন পাননি নওশাদরা (Nawsad Siddique)। এই পরিস্থিতিতে খানিকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই নওশাদ পাশে পেয়ে গেলেন রাজ্য বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হাই কোর্টের মতো স্পিকারও নওশাদের এতদিন জেলবন্দি থাকা নিয়ে বিস্ময় প্রকাশ করলেন।
এদিন নওশাদ-সহ আইএসএফ সমর্থকদের বন্দিদশা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় (Biman Banerjee) বলেন, আমার মনে হয় ওর জামিন হয়ে যাওয়া উচিত। এতদিন জেলে থাকার মতো কিছু এই মামলায় নেই। বিমানবাবুর সংযোজন, “বিচারপতি যারা আছেন, তাঁরা তো জামিন দিতেই পারেন। বিচারপতিরা যদি মনে করেন ওদের জামিন হয়ে যেতে পারে। আইনজীবী হিসাবে আমি মনে করি, জামিন হয়ে যাওয়া উচিত।” যদিও নওশাদের অনুপস্থিতিতে বিধানসভার কাজে কোনও সমস্যা হচ্ছে না বলেও জানিয়ে দিয়েছেন স্পিকার।
বস্তুত, নওশাদকে জেলে বন্দি করে রাখা নিয়ে রাজ্য সরকারকে কম প্রশ্নের মুখে পড়তে হচ্ছে না। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় এ নিয়ে বিক্ষোভও হয়েছে। এর মধ্যে হঠাৎ স্পিকার আইএসএফ (ISF) বিধায়কের পাশে দাঁড়ানোয় স্বাভাবিকভাবেই শাসকদলের অন্দরে চাপানউতোর তৈরি হওয়ার একটা সম্ভাবনা রয়েছে। যদিও বিমানবাবু সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি স্পিকার বা বিধায়ক হিসাবে এই মন্তব্য করেননি। একজন আইনজীবী হিসাবে এটা তাঁর ব্যক্তিগত মত।
উল্লেখ্য, গত ২০ জানুয়ারি ভাঙড়ে অশান্তির প্রতিবাদে ২১ জানুয়ারি ধর্মতলায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে আইএসএফ। তাতেই নেতৃত্ব দেন আইএসএফ বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। পুলিশের সঙ্গে আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন। বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হন। সেই ঘটনায় নওশাদ সিদ্দিকি-সহ বহু আইএসএফ কর্মী-সমর্থক গ্রেপ্তার হন। এখনও জেলেই রয়েছেন তিনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.