ছবি: প্রতীকী
দীপঙ্কর মণ্ডল: আগামী বছর থেকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রেই উত্তর লেখার নয়া নিয়মের কথা জানিয়েছিল রাজ্য সরকার। বৃহস্পতিবার বাতিল করা হল সেই ঘোষণা। উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি মহুয়া দাস এদিন বলেন, “শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশে পুরনো পদ্ধতিতেই আগামী বছর পরীক্ষা হবে। নয়া পরীক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে আগের বিজ্ঞপ্তিগুলি বাতিল করা হল।” সংসদের নয়া ঘোষণায় স্কুলের টেস্ট পরীক্ষাও পুরনো নিয়মেই হবে।
কয়েকমাস আগে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় ‘কোশ্চেন কাম অ্যানসার বুকলেট (কিউসিএবি)’ চালুর কথা ঘোষণা হয়। সরকারি সেই নির্দেশে স্কুলগুলি সমস্যায় পড়ে। উচ্চমাধ্যমিকে টেস্টের প্রশ্ন স্কুলগুলিকেই করতে হয়। প্রশ্নপত্রে উত্তরের জায়গা রাখতে গিয়ে খরচ প্রায় দশগুণ বাড়ার আশঙ্কা দেখা দেয়। চার পাতায় যে প্রশ্নপত্র ছাপা হত তার পৃষ্ঠা সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৫০ থেকে ৬০-এ। বাড়তি খরচ নিয়ে কোনও দিশা না থাকায় চিন্তায় পড়ে স্কুলগুলি। এদিন পুরনো নিয়ম চালু রাখার কথা ঘোষণার পর কিছুটা স্বস্তি মিলল।
মূলত হোয়াটসঅ্যাপে প্রশ্ন ফাঁস আটকাতে ‘কোশ্চেন কাম অ্যানসার বুকলেট (কিউসিএবি)’-এর এই ব্যবস্থা করে সংসদ। নয়া ব্যবস্থা নিয়ে শিক্ষকদের আলাদা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়নি। শিক্ষামহলের বক্তব্য, একাদশ শ্রেণি থেকে এই নয়া ব্যবস্থা চালু করলে ছাত্রছাত্রী এবং শিক্ষক উভয়েরই সুবিধা হবে। ২০২০ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা চলবে ১২ থেকে ২৭ মার্চ। তার আগে নভেম্বর মাস থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা নিজেদের স্কুলে টেস্ট পরীক্ষা দেবে। ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত পুজোর ছুটি ছিল। আগামী সোমবার ফের ছটের ছুটি। তারপরই উচ্চমাধ্যমিকের টেস্ট। প্রশ্নপত্র তৈরি করতে গিয়ে দিশা খুঁজে পাচ্ছিলেন না শিক্ষকরা। তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রত্যেকটি কিউসিএবি কম করে পঞ্চাশ পাতা করে হচ্ছে। এছাড়াও ছাত্রছাত্রীরা নয়া ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্ত না থাকায় তাদের অসুবিধা হতে পারে বলে মনে করছিল শিক্ষামহল। এদিনের ঘোষণায় পড়ুয়াদের মধ্যেও কিছুটা স্বস্তি ফিরবে বলে মনে করছেন শিক্ষকরা।
অন্যদিকে সংসদ এই প্রথম উত্তরের জন্য শব্দ সংখ্যা নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল। ৪ নম্বরের প্রশ্নের জন্য খুব বেশি হলে ৮০ শব্দের উত্তর দেওয়া যাবে। ৫ নম্বরের প্রশ্ন থাকলে ১০০ শব্দের মধ্যে উত্তর লিখতে হবে। ৬ নম্বরের প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ ১২০ শব্দ। ৭-৮ নম্বরের প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে ১৫০ শব্দে। ১০ নম্বরের প্রশ্নের জন্য ২০০ শব্দ এবং ১৫ নম্বরের প্রশ্নের জন্য বরাদ্দ ৩০০ শব্দ। এদিনের বিজ্ঞপ্তিতে সেই শব্দ সংখ্যার বিধি আপাতত কার্যকর থাকছে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.