রাহুল চক্রবর্তী: চা বাগান নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের চির সংঘাত। অধিগ্রহণের নাম বাগানের শ্রমিক অনেক বিষয় থেকে বঞ্চিত করা হয়, এই অভিযোগে বারবারই সরব হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। কেন্দ্রকে জবাব দিতেই চা বাগানের প্রতি অনেকটাই দরদী। এর আগে ২ টাকা কিলো দরে চাল এবং বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া শুরু করেছে। এবার তাতে যোগ হল আরও একটি প্রকল্প। যা শুনে মুখের হাসি চওড়া হয়েছে চা শ্রমিকদের। প্রকল্পের নাম – চা সুন্দরী।
বাংলার বাড়ি, বাংলা আবাস যোজনা রাজ্যের নিম্নবিত্ত, বিপিএল তালিকাভুক্ত মানুষজনকে সহজ উপায়ে বাড়ির মালিক হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। এই প্রকল্পগুলিতে রাজ্য সরকার নিজেই বাড়ি তৈরি করে এঁদের হাতে বাড়ির চাবি তুলে দিয়েছে। এবার চা বাগানের শ্রমিকদেরও সেই সুযোগ দিল রাজ্য সরকার। এবারের বাজেটে অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ঘোষণা করলেন ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্পের। যাতে শুধুমাত্র চা বাগানের শ্রমিক, যাঁদের নিজস্ব বাড়ি নেই, তাঁদের জন্য রাজ্য সরকার এলাকার মধ্যে তৈরি করে দেবে বাড়ি। এর জন্য বাজেট বরাদ্দ করা হয়েছে ৫০০ কোটি টাকা। খুব দ্রুত এই প্রকল্পের কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস তাঁর। আজ বাজেটে অর্থমন্ত্রীর ঘোষণায় খুশির হাওয়া বাংলায় চা বলয়ে।
গত লোকসভা ভোটে রাজ্যের চা বলয়ে তৃণমূলের ফলাফল অত্যন্ত খারাপ। আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি কেন্দ্রের একচেটিয়া জয় পেয়েছেন বিজেপি প্রার্থীরা। জন বারলা থেকে শুরু করে জয়ন্ত রায়, চা শ্রমিকদের কাছে ব্যাপক জনপ্রিয়তার জেরে জয়ী হয়েছেন। চা বলয়ে সেই হারিয়ে যাওয়া জমি পুনরুদ্ধারে একুশে ঝাঁপিয়ে পড়তে চলেছে শাসকদল। তা মাথায় রেখে অমিত মিত্রের এই ঘোষণা বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.