প্রতীকী ছবি
সন্দীপ চক্রবর্তী: আনলক ওয়ানে ফের কর্মমুখর হয়েছে গোটা বাংলা। খুলেছে সরকারি, বেসরকারি অফিস। চলছে ফের পুরনো ছন্দে কাজ। তবে তা সত্ত্বেও করোনা সংক্রমণের কথা ভুললে চলবে না। কারণ বিশেষজ্ঞরা স্পষ্ট জানাচ্ছেন এই সময়ে অসতর্ক হলেই সর্বনাশ। তাই পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে সরকারি কর্মচারীদের জন্য করোনা সতর্কতায় নবান্নের তরফে ১১ দফার নির্দেশিকা জারি করা হল। মঙ্গলবারই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়।
নির্দেশিকায় কী কী লেখা রয়েছে, দেখে নিন একনজরে
১. জ্বর, সর্দি, কাশি থাকা কর্মীকে কাজে যোগ দিতে হবে না। শুধুমাত্র উপসর্গহীনরাই কাজে উপস্থিত থাকতে পারবেন।
২. যে সমস্ত আধিকারিক বা কর্মী কনটেনমেন্ট জোনে থাকেন, তাঁদের কাজে না আসার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৩. একই জায়গায় বসে যেখানে একসঙ্গে অনেক ব্যক্তি কাজ করেন সেই সমস্ত দপ্তরের কর্মীদের ক্ষেত্রে নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই সমস্ত দপ্তরের কর্মীরা ঘুরিয়ে ফিরিয়ে প্রতিদিন ১০ জন করে উপস্থিত থাকবেন। দু’টি ডেস্কের মধ্যে ন্যূনতম ২ মিটারের দূরত্ব রাখতে হবে। যদি ২ মিটার করে দূরত্ব রাখা সম্ভব না হয় সেক্ষেত্রে কর্মী সংখ্যা কমাতে হবে। ৭০ শতাংশের বেশি কর্মী উপস্থিত থাকলে চলবে না।
৪. যে সমস্ত উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা আলাদা কেবিনে বসেন, তাঁদের রোজই অফিসে আসা বাধ্যতামূলক।
৫. কিছু সংখ্যক কর্মীকে ওয়ার্ক ফ্রম হোমেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
৬. অফিসের ভিতরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। মাঝে মাঝে ধুতে হবে হাত। ব্যবহার করতে হবে হ্যান্ড স্যানিটাইজার। স্বাস্থ্যবিধি না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে নেওয়া হতে পারে ব্যবস্থাও।
৭. ভিজিটার্সদের বসার ক্ষেত্রে ২ মিটারের দূরত্ববিধি মেনে চলতে হবে।
৮. প্রত্যেককে তাঁদের ব্যবহৃত কি-বোর্ড, মাউস, এসির রিমোট জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
৯. যে সমস্ত জিনিসপত্র বেশি স্পর্শ করা হয়, যেমন ইলেকট্রিক সুইচ, দরজার হাতল, বাথরুমের জিনিসপত্র বারবার জীবাণুমুক্ত করতে হবে। এছাড়াও গোটা অফিস ১৫ দিন অন্তর জীবাণুমুক্ত করতে হবে।
১০. মুখোমুখি বসে কথাবার্তা বলা চলবে না। সেক্ষেত্রে অফিসের কর্মীদের ইন্টারকম কিংবা ব্যক্তিগত ফোন ব্যবহার করতে হবে। সাহায্য নেওয়া যেতে পারে ভিডিও কনফারেন্সেরও।
১১. সাধারণের জন্য ব্যবহৃত লিফটে ৩ জনের বেশি কাউকে ওঠানামা করতে দেওয়া যাবে না।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.