দীপালি সেন: উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে চূড়ান্ত সংঘাতের পথেই হাঁটলেন আচার্য তথা রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস (CV Anand Bose)। রাজ্যকে কার্যত পুরোপুরি অন্ধকারে রেখে একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিয়োগ করে দিলেন তিনি। রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা না করে এভাবে উপাচার্য নিয়োগ ‘নিয়মবিরুদ্ধ’ বলে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
#HED pic.twitter.com/N4AqOg3V5m
— Bratya Basu (@basu_bratya) June 1, 2023
জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার থেকে সবমিলিয়ে প্রায় ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যহীন। এই বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যদেরই মেয়াদ বৃদ্ধির সুপারিশ করে রাজভবনে প্রস্তাব পাঠিয়েছিল উচ্চশিক্ষা দপ্তর। কিন্তু সেই প্রস্তাব না মেনে বৃহস্পতিবার একের পর এক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ করেছেন সিভি আনন্দ বোস। যাদবপুর (Jadavpur University), কল্যাণী, কাজী নজরুল, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়-সহ মোট ১০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে অন্তবর্তীকালীন উপাচার্য নিয়োগ করেন রাজ্যপাল।
সূত্রের খবর, বিদায়ী উপাচার্যদের মেয়াদবৃদ্ধি নয়, নিজের ইচ্ছামতো অধ্যাপকদের বেছে নিয়ে অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসাবে নিয়োগ করেছেন তিনি। সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনা হয়নি, দাবি সরকারি সূত্রের। আসলে উপাচার্য পদ ফাঁকা রয়েছে এমন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বুধবারই একজন করে প্রবীণ অধ্যাপককে রাজভবনে ডেকেছিলেন রাজ্যপাল তথা আচার্য। তাঁদেরই অধিকাংশ ক্ষেত্রে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে শোনা যাচ্ছে।
রাজ্যপাল যেভাবে একতরফা উপাচার্য নিয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাতে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ শিক্ষাদপ্তর। খোদ শিক্ষামন্ত্রী (Education Minister) ব্রাত্য বসু টুইটে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। টুইটে তিনি বলছেন,”এই উপাচার্যদের নিযুক্তি শিক্ষা দপ্তরের সঙ্গে কোনওরকম আলোচনা না করেই হয়েছে। সেটা বর্তমানে উপাচার্য নিয়োগের যে নিয়ম আছে, সেটার পরিপন্থী এবং বেআইনি। এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতিতে আমরা বিভাগীয় আইনি পরামর্শ নিচ্ছি ভবিষ্যতে কী পদক্ষেপ করা হবে সেটা নিয়ে।” একই সঙ্গে যেসব অধ্যাপকরা উপাচার্য পদে নিযুক্ত হয়েছেন তাঁদের উদ্দেশে শিক্ষামন্ত্রীর অনুরোধ, তাঁরা যেন এই বেআইনি নিয়োগ প্রত্যাখ্যান করেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.