ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ই এম বাইপাসের পাশ দিয়ে গেলে একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়বেই। বলা হয়েছে, “তোমার ছুটি, আমার নয়।” সত্যি। সরকারি বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা যেন অভ্যস্ত। পুজোর সময় নো ছুটি। রোজ নিয়ম করে হাসপাতালে আসতে হবে। রোগীকে পরিষেবা দিতেই হবে। জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। রুটিন অস্ত্রোপচারও হবে। এটাই নিয়ম। অন্যথা হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। থাকবেই বা কেন রোগ, দুর্ঘটনা কখন হবে কে বলতে পারে?
এমনকী, কোনও রোগী পরিষেবা না পেলে সরাসরি স্বাস্থ্যভবনের কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। কন্ট্রোল রুমের নম্বর 0৩৩-২৩৩৩০১৯৭/০৫৯৯. সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের নাম উল্লেখ করে রোগী বা তাঁর সঙ্গী বক্তব্য জানাতে পারবেন।
গোটা বাংলা উৎসবে মাতোয়ারা। কিন্তু ঘড়ির কাঁটার সঙ্গে তাল মিলিয়ে খোলা থাকছে স্বাস্থ্যভবন। কোভিড কম। কিন্তু সাবধানের মার নেই। তাই কোভিড হাসপাতালে নিয়ম করে চিকিৎসক, নার্স স্বাস্থ্যকর্মীরা যাতে আসেন তার জন্য রীতিমতো সার্কুলার জারি হয়েছে। জেলা, ব্লক থেকে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পুজোর চারদিন খোলা। খোলা আউটডোর। শুধু অষ্টমীর দিন বন্ধ আউটডোর। এই বক্তব্য পাহাড় থেকে সাগর সব হাসপাতালে। ষষ্ঠীর দুপুরে স্বাস্থ্যভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স করে সব সরকারি হাসপাতালের সুপারদের সরকারি অভিমত জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য কর্তাদের এই ক’দিন আরও একটু বাড়তি দায়িত্ব নিতে হবে। সরকারি হাসপাতালে করোনার টিকা কর্মসূচি যেন বন্ধ না হয়। ন্যূনতম ১০জন এলেই তাঁদের টিকা দিতে হবে।
খাস কলকাতার এনআরএস, আরজিকর মেডিক্যাল, এসএসকেএম-সহ সব হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে আর পাঁচটা দিনের মতো। জরুরি অস্ত্রোপচার হবে। কোনও প্রসূতির সমস্যা হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তীর কথায়, ডেপুটি সেক্রেটারি থেকে সব আধিকারিককে রোজ আসতে হবে। নিয়ম করে সব তদারকি করতে হবে।” এনআরএসের অধ্যক্ষ ডা শৈবাল মুখোপাধ্যায়ের ফোনের ওপার থেকে হাসতে হাসতে বলেছেন, “যা ভিড়। অন্তত মাস্ক পরে বেরোক সবাই। না হলে কিন্তু ভোগান্তি আছে। একই অভিমত মেডিক্যাল কলেজের প্রিন্সিপাল মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যাযের। কোভিড, নন-কোভিড সব বিভাগ চালু। অস্ত্রোপচার হবে। সব বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক না এলেও দরকারে অবস্থা সামাল দিতে সব চিকিৎসক থাকবেন।”
তথ্য বলছে, পুজোর সময় জরুরি পরিষেবা বজায় রাখতে পাঁচটি মেডিক্যাল কলেজের অন্তত ৩০০ অভিজ্ঞ চিকিৎসক তৈরি। তাঁদের সঙ্গে থাকবেন সহকারীরা। আমরি হাসপাতালের গ্রুপ সিইও রূপক বড়ুয়ার কথায়, “রোগী পরিষেবায় আউটডোর-ইনডোর সব খোলা। আর পাঁচটা দিনের থেকে আলাদা কিছু নয়।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.