ফাইল চিত্র।
বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: বিধানসভাকে না জানিয়ে চার্জশিটে কেন জন প্রতিনিধিদের নাম দেওয়া হল। সশরীরে হাজির হয়ে জবাবদিহি করতে দুই সিবিআই ও ইডি আধিকারিককে ডেকে পাঠালেন বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার সিবিআই (CBI) ও ইডির (Enforcement Directorate) দুই আধিকারিকের কাছে চিঠি পাঠান অধ্যক্ষ।
এদিন হাইকোর্টে নারদ মামলার (Narada Case) শুনানির দিন ধার্য থাকলেও তা হয়নি। বুধবার বিধানসভার অধ্যক্ষদের সভা ডেকেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা। সেই বৈঠকে বিষয়টি তুলবেন। রাজ্যপাল ছাড়াও দুই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা কীভাবে বিধানসভার গরিমা নষ্ট করছে বৈঠকে সেই অভিযোগ করবেন বলে জানান বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়।
নারদ মামলায় রাজ্যের তিন জন প্রতিনিধি ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় ও মদন মিত্রর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। তাঁকে সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে চার্জশিটে এই তিনজনের নাম দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হন অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন তাকে না জানিয়ে এমন সিদ্ধান্ত তা জানতে চেয়ে দুই তদন্তকারী সংস্থার কাছে চিঠি পাঠালেন তিনি।
২২ সেপ্টেম্বর বেলা ১টায় বিধানসভায় আসতে বলা হল সিবিআই ও ইডির আধিকারিকদের। সিবিআইয়ের ডিএসপি সত্যেন্দ্র সিংহ ও ইডির রথীন বিশ্বাসকে হাজিরার চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানালেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রিভেনশন অব কোরাপশান অ্যাকট ১৯(১) ধারায় চার্জশিট দেওয়া ক্ষেত্রে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমতি নেওয়া উচিত ছিল বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন। অধ্যক্ষ জানান, “বিধানসভার সম্মান রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। দুই তদন্তকারী সংস্থার এমন কাজে বিধানসভার গরিমা নষ্ট হয়েছে।”
রাজভবন ও বিধানসভার দ্বৈরথ এখনও অব্যাহত। স্পিকারদের বৈঠকে বিধানসভার দৈনন্দিন কাজে রাজ্যপাল অবাঞ্চিত হস্তক্ষেপ করছেন বলে অভিযোগ জানাবেন। সেইসঙ্গে ভবানীপুরে উপনির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রী জয়ী হওয়ার পর বিধায়ক হিসাবে তিনিই শপথবাক্য পাঠ করাবেন বলে জানান। একান্তই রাজ্যপাল শপথবাক্য চান তাহলে বিধানসভায় এসে করাতে হবে বলে দাবি করেন অধ্যক্ষ।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.