ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: ডেঙ্গুর সংক্রমণ এখন লাগামছাড়া। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, কলকাতার থেকেও মফস্বল ও গ্রামে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি। কোন রোগী কোন প্রজাতির মশায় আক্রান্ত হয়েছেন, তা জানা অত্যন্ত জরুরি বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। তাই বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে আসা নমুনা পরীক্ষার জন্য নাইসেডে পাঠাতে হবে, এমনই নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্যদপ্তর।
স্বাস্থ্যদপ্তরের গাইডলাইন বলছে, একদিনের জ্বরেই এনএস-১ (নন স্ট্রাকচারাল প্রোটিন) টেস্ট করে ডেঙ্গু পজিটিভ বোঝা সম্ভব। আবার ২-৭ দিনের জ্বর ও তীব্র মাথার যন্ত্রণা থাকলে রক্ত পরীক্ষা করে বোঝা সম্ভব ম্যালেরিয়ার প্যারাসাইট রয়েছে কিনা। ঘটনা হল রোগীর রক্তে তিন সপ্তাহ পর্যন্ত ম্যালেরিয়ার প্যারাসাইট থাকতে পারে। এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকলে ফের আক্রান্ত হতে পারেন সেই ব্যক্তি। তাই সুস্থ হওয়ার তিন সপ্তাহ পরও যদি রোগীর জ্বর, মাথার যন্ত্রণা ও উপসর্গ থাকে তবে ফের ম্যালেরিয়া পরীক্ষা করতে হবে। যেসব ব্লকে ম্যালেরিয়া ও ডেঙ্গুর জোড়া আক্রমণ দেখা যাচ্ছে সেইসব এলাকায় স্বাস্থ্যদপ্তর ইতিমধ্যে ক্যাম্প শুরু হয়েছে। র্যাপিড ডায়াগনস্টিক টেস্ট করে দেখে নেওয়া হচ্ছে রোগী কোন সমস্যায় ভুগছেন। তার কী ধরনের উপসর্গ।
রাজ্যে ডেঙ্গুর পাশাপাশি ম্যালেরিয়ার দাপটও ক্রমশ বাড়ছে। মশাবাহিত রোগ নিয়ন্ত্রণে কোমর বেঁধে নেমেছে প্রশাসন। শুক্রবার সব দপ্তরের সচিব, জেলাশাসক-স্বাস্থ্যকর্তাও বিডিওদের সঙ্গে ভারচুয়াল বৈঠক করেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। নবান্ন সূত্রে খবর, বৈঠকে মশাবাহিত রোগ দ্রুত নিয়ন্ত্রণে আনতে সব দপ্তরকে সর্বোচ্চ পর্যায়ের তৎপরতা নিয়ে ডেঙ্গু নিধন শুরুর নির্দেশ দেন তিনি। বিশেষজ্ঞদের মতে, কলকাতা ও জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে এমন বেশ কিছু রোগী রয়েছেন যাঁরা দু’টি রোগেই আক্রান্ত।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.