সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো কার্নিভাল নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে উঠেছে। আমন্ত্রণ করে তাঁকে হেনস্তা করা হয়েছে বলেই রাজ্যের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগের আঙুল তুলেছিলেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। তার দু’দিন কাটতে না কাটতেই বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে কার্নিভালের সাফল্য বিশ্লেষণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। নবান্নের সভাঘরের ওই অনুষ্ঠানে নাম না করে রাজ্যপালকে তোপ দাগেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি সমালোচনাকে গ্রহণ করি। সেটা যদি আলোচনার মধ্যে দিয়ে হয়। নেতিবাচক কোনও কিছুকে আমি বিশ্বাস করি না।” কার্নিভাল যে ঠিক কতটা ভাল হয়েছে। এদিন সেকথাও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করলে সব পারি। চার বছর ধরে যেভাবে এখানে কার্নিভাল হচ্ছে তাতে তাক লাগিয়ে দিয়েছি। একথা বলতে গেলেই আমার গায়ে কাঁটা দেয়।” আগামী বছরের পুজোর প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করার নির্দেশও দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আগামী বছর কীভাবে আরও ভাল মণ্ডপ তৈরি করা যায়, ভাল থিম বাছা যায় তা ভাবতে শুরু করুন। ইউনেসকো এই কার্নিভালকে স্বীকৃতি দিয়েছে। একদিন সারা পৃথিবী বলবে বাংলার শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজো। আমি মায়ের কাছে একটাই প্রার্থনা করি, মাগো তুমি একটু করে এগিয়ে দাও।”
বড় ক্লাবের পাশাপাশি রাজ্য সরকার যে ছোট ক্লাবগুলিকেও সমানভাবে প্রাধান্য দেয়, তাও এদিন বুঝিয়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, “দেখবেন গিয়ে পেয়ারাবাগানের বাটাম ক্লাবের পুজো। কী সুন্দর করে ওরা। কোলাহল ক্লাবও তাই। বিউটিফুল করে। বড় ক্লাবের থেকে কম যায় না। ছোট ক্লাব বলে দেখব না এটা হয় না। ‘এ’-র চোখ দিয়ে ‘এ’-কে দেখতে হবে, ‘বি’-র চোখ দিয়ে ‘বি’কে। ‘সি’-র চোখ দিয়ে ‘ডি’কে দেখলে হবে না আবার ‘ডি’-র চোখ দিয়ে ‘এফ’কে দেখলে হবে না। সবশেষে ধর্মের ভেদাভেদের প্রসঙ্গ টেনে নাম না করে বিজেপিকেও খোঁচা দিতে ছাড়েননি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর এদিনের জবাবে যে রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাতের আগুনে আরও ঘি ঢালল।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.