অর্ণব আইচ: দোলের দিন বন্ধুর স্ত্রীকে রং মাখানো নিয়ে বচসার জেরে খাস কলকাতায় (Kolkata) বন্ধুর হাতে বন্ধু খুন হন। রিজেন্ট পার্কে (Regent Park) এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে নেমে অনেক নয়া তথ্যই হাতে আসছে পুলিশের। জানা গিয়েছে, শুধু বন্ধুর স্ত্রীকে আবির মাখানোই নয়, ওইদিন মদ্যপ অবস্থায় নিহত দিলীপ চৌহান বন্ধুর স্ত্রীকে সরাসরি বিয়ের প্রস্তাবই দিয়েছিলেন। আর তাতেই মাথা গরম হয়ে ওঠে অভিযুক্ত সুজিত মালিকের। তখনই সে আগ্নেয়াস্ত্র (Arms)বের করে সটান গুলি চালিয়ে দেয়। তাতেই মৃত্যু হয় দিলীপের। এই ঘটনায় ধৃত সুজিত মালিককে ৩০ তারিখ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আলিপুর আদালত। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও তথ্য জানতে মরিয়া পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত কয়েকবছর ধরেই আগ্নেয়াস্ত্র নিজের কাছে রাখে ধৃত সুজিত। পুলিশি জেরায় তা স্বীকার করেছে ধৃত। একজন বাদাম বিক্রেতা কেন বন্দুক সঙ্গে রাখে, তা নিয়ে প্রবল ধন্দে তদন্তকারীরা। সুজিতকে জেরা করে এই বিষয়টি পরিষ্কার করতে চাইছেন তাঁরা। আরও জানা গিয়েছে, ওইদিন নিহত দিলীপ সুজিতকে বলেছিলেন, তাঁর স্ত্রীকে বিয়ে করতে চায়। বন্ধুর স্ত্রীকে রং মাখিয়ে সরাসরি সেই প্রস্তাবই দিয়েছিলেন দিলীপ। জানা গিয়েছে, বন্ধুপত্নীও এতে বেশ অস্বস্তি বোধ করেন। আর একথা শুনে সেখান থেকে বেরিয়ে যায় ধৃত সুজিত। তার কিছুক্ষণ পর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এসে গুলি (Shootout) চালিয়ে বন্ধুকে খুন করে।
এই মুহূর্তে তদন্তকারীদের লক্ষ্য একটাই, আগ্নেয়াস্ত্রটি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জোগাড় করা। খুনের পর নিজে গাঢাকা দিয়ে আগ্নেয়াস্ত্রটিও লুকিয়ে রেখেছিল সুজিত। কিন্তু দক্ষিণ ২৪ পরগনার ফলতা থেকে সুজিতকে গ্রেপ্তারির পর অস্ত্রটিও উদ্ধার করে পুলিশ। ধৃতের স্ত্রীর দাবি, স্বামী কোথা থেকে কেন বন্দুক জোগাড় করেছিল, সে ব্যাপারে তার কোনও ধারণাই নেই। এদিন তাকে আলিপুর আদালতে তোলা হয়। বিচারক ৩০ মার্চ পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের (PC) নির্দেশ দেন।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.