ছবি: প্রতীকী
অর্ণব আইচ: খিদিরপুরে (Khidirpore) অগ্নিদগ্ধ মহিলার দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। কলকাতা পুরসভার ৭৬ নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত খিদিরপুরের এক সুলভ শৌচালয়ের সামনে এক পরিত্যক্ত কারখানার ভিতরে দাউদাউ করে এক মহিলাকে আগুনে পুড়তে দেখেন স্থানীয়রা। কোনওক্রমে আগুন নিভিয়ে মহিলাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। কে ওই মহিলা? তিনি কি গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাকি এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য আছে? এসব প্রশ্নের উত্তর পেতে তদন্তে নেমেছে ওয়াটগঞ্জ থানার পুলিশ।
খিদিরপুরের ৭৬ নং ওয়ার্ড এলাকায় সুলভ শৌচালয়ের সামনে রয়েছে একটি পরিত্যক্ত খোলা কারখানা। সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা নাগাদ ওই কারখানার ভিতর এক মহিলাকে আগুনে (Burn alive) পুড়তে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মহিলার চিৎকারও শোনা যাচ্ছিল। এমন দৃশ্য দেখে সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ওই জ্বলন্ত দেহের উপর জল ঢেলে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেন। কিছুক্ষণের চেষ্টায় আগুন নিভে যায়। মহিলা ততক্ষণে অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন। তাঁকে তড়িঘড়ি নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। চিকিৎসকরা ওই মহিলাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মহিলার বয়স পঞ্চান্ন থেকে ষাটের মধ্যে। তাঁর মুখের দিকের অংশ বেশি পুড়ে গিয়েছে। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে রহস্য ঘনিয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই মহিলার দগ্ধ দেহের পাশে একটি কোল্ড ড্রিংকসের বোতল ও দেশলাই পাওয়া গিয়েছে। এতেই উঠেছে একাধিক প্রশ্ন। তবে কি মহিলাকে নেশা করিয়ে খুনের পর দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে? না কি তিনি আত্মহত্যা করছেন? বাইরে থেকে কেউ মহিলাকে এখানে এনে আগুন ধরিয়ে খুন করতে পারে, সেই সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তদন্তকারীরা। মহিলার পরিচয় এখনও জানা যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে খবর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.