সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত মাসের শেষ সপ্তাহেই স্বামীর হাত ধরে জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেছিলেন তিতাস নন্দী। কিন্তু তা যে এতটাই ক্ষণস্থায়ী, তা হয়তো কল্পনাও করেননি তিনি। শুক্রবার গভীর রাতে ফ্ল্যাটের নিচ থেকে উদ্ধার হল তিতাসের রক্তাক্ত দেহ। ঘটনায় দানা বেঁধেছে রহস্য। আটক করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে।
জানা গিয়েছে, বাগুইআটির আমবাগান এলাকার একটি বহুতলের একতলায় স্বামী কৌস্তব সরকারের সঙ্গে থাকতেন ২৮ বছরের তিতাস। একটি বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত ছিলেন তিতাস। তাঁর স্বামী ডাক্তারি পেশার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। প্রতিবেশীদের দাবি, বিয়ের পর থেকেই দু’জনের মধ্যে ঝামেলা লেগেই থাকত। শুক্রবার গভীর রাতে ফ্ল্যাটের নিচে তিতাসের রক্তাক্ত দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় নাগেরবাজার থানার (Nager Bazar PS) পুলিশকে। ঘটনাস্থল থেকে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয় আরজি হাসপাতালে। ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্ট এলে কীভাবে মৃত্যু হয়েছে, তা আন্দাজ করা যাবে।
ফেসবুক (Facebook) মারফত জানা গিয়েছে, গত ১৭ জুলাই শেষবারের মতো জন্মদিন সেলিব্রেট করেছিলেন ২৮ বছরের তিতাস। জন্মদিনের একগুচ্চ ছবিও পোস্ট করেছিলেন। এর দিন কয়েক পরই আইবুড়োভাত এবং বিয়ের রেজিস্ট্রি। এমনকী গত ২ আগস্ট নিজের ফেসবুকের কভার ছবি বদলেছিলেন তিতাস। যেখানে দেখা যাচ্ছে, স্বামীর হাতে হাত রেখেছেন তিনি। হাতে বিয়ের মেহেন্দি। ক্যাপশনে লেখা, “হৃদয়ং তব এবং মমর মধ্যে।” কিন্তু দু’সপ্তাহ কাটতে না কাটতেই মৃত্যু হল নববধূর।
তিতাসের পরিবারের দাবি, স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকেরাই তাঁকে হত্যা করেছে। ঘটনায় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই কৌস্তবকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। মৃতার পরিবারের তরফে অভিযোগ, ঝামেলার জেরেই বহুতলের ছাদ থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয় তিতাসকে। শুধু স্বামী কৌস্তব নয়, কৌস্তবের মা-বাবার শাস্তিও দাবি করেছেন তিতাসের বাড়ির লোকেরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.