ছবি: প্রতীকী
অভিরূপ দাস: বিকল কিডনি এবং অন্যান্য শারীরিক সমস্যা নিয়ে হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন পাপিয়া বসু (৬৭)। তারপরই বাঁধে গন্ডগোল। টানা ১০৫ দিন ধরে কোভিড (COVID-19) পজিটিভ হয়ে হাসপাতালেই থাকতে হল প্রৌঢ়াকে। টানা এতদিন ধরে কোভিড আক্রান্ত হয়ে থাকার ঘটনা বিরল। জানা গিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে ওই মহিলা সেড়ে উঠেও আবার কোভিড পজিটিভ হন। দীর্ঘ সময়ে হাসপাতালের বিল দাঁড়ায় পাহাড় প্রমাণ। ৩১ লক্ষ টাকা! তবে শেষমেশ সুর নরম করতে বাধ্য হয় হাসপাতাল।
ছেলের প্রশ্ন, “কোভিড নিয়ে তো মা হাসপাতালে ভরতি হননি। হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে থাকার সময়েই তাঁর প্রথমবার সংক্রমণ হয়। সেড়ে ওঠেন। পুনরায় পজিটিভ হন। এর নৈতিক দায়িত্ব তো হাসপাতালেরও। কেন পুরো বিলের দায়িত্ব আমাদের ঘাড়ে পরবে?” প্রশ্ন করা সহজ ছিল। লড়াইটা নয়। প্রৌঢ়ার ছেলে বউমা দুজনেই থাকেন ৭ হাজার ন’শো একাত্তর মাইল দূরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগো শহরে। সেখান থেকে সোমবার অনলাইনে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা।
কমিশনের কাছে ২৪ সেপ্টেম্বর জমা পড়া এই অভিযোগের তির ছিল ঢাকুরিয়ার এক বেসরকারি হাসপাতালের দিকে। কমিশন চেয়ারম্যান অসীম বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, শুনানি যখন চলছে তখন অভিযোগকারীর ওখানে রাত ৩টে বাজে। দুই মহাদেশের দূরত্ব আটকাতে পারেনি বিচার প্রক্রিয়া।
দু’পক্ষের বক্তব্য শোনার পর স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক কমিশন মোট ৫ লক্ষ ৮ হাজার টাকা ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে হাসপাতালকে। কমিশনের বক্তব্য, চিকিৎসা সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ নেই। ভেন্টিলেশন থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়েছে এমনটা বলা যায় না। গত ১৪ জুন হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন মহিলা। আপাতত তাঁকে ঢাকুরিয়ার ওই হাসপাতাল থেকে ডিসচার্জ করিয়ে নিয়ে গিয়েছে পরিবার। কমিশন সূত্রে খবর, অন্য একটি হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে তাঁর।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.