অভিরূপ দাস: প্রসূতি এবং তাঁর গর্ভস্থ সন্তানের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়াল এসএসকেএম হাসপাতালে (SSKM Hospital)। অভিযোগ, চিকিৎসকের উদাসীনতাতেই এমন ঘটনা ঘটেছে। এই অভিযোগে হাসপাতালে ভাঙচুর করেন ওই নিহত প্রসূতির পরিজনেরা। যদিও গাফিলতির অভিযোগ মানতে নারাজ এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার। প্রসূতির পরিজনেরা কোনও চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীর উপর হামলা চালালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই পালটা দাবি তাঁর।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শেখ শাহনাজ নামে ওই প্রসূতি (Pregnant) তপসিয়ার বাসিন্দা। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন তিনি। শুক্রবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আচমকাই তাঁর পেটে যন্ত্রণা শুরু হয়। পরিজনেরা তড়িঘড়ি তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসেন। সোজা জরুরি বিভাগে প্রসূতিকে নিয়ে যান তাঁরা। পরিবারের অভিযোগ, সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে স্ট্রেচারেই পড়েছিলেন ওই মহিলা। পেটের যন্ত্রণায় ছটফট করলেও তার চিকিৎসার কোনও বন্দোবস্ত হয়নি বলেও দাবি।
এরপর গভীর রাতে প্রসূতিকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার হয় তাঁর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, মৃত সন্তান প্রসব করেন তপসিয়ার বাসিন্দা শেখ শাহনাজ। তা জানানো হয় মহিলার পরিজনদের। সেই সময় প্রসূতির অবস্থা ছিল আশঙ্কাজনক। শনিবার সকালে মৃত্যু হয় ওই মহিলার। সে খবরও দেওয়া হয় তাঁর পরিজনদের। প্রসূতির মৃত্যু সংবাদ পাওয়ামাত্রই উত্তেজিত হয়ে পড়েন তাঁর পরিজনেরা। হাসপাতালে ভিড় জমান তাঁরা। হাসপাতালে ভাঙচুর করেন বলেও অভিযোগ। পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে ভবানীপুর থানায় যোগাযোগ করা হয়। বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ প্রসঙ্গে এসএসকেএম হাসপাতালের সুপার পীযূষ রায় প্রসূতির পরিবারের তোলা গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, সময়মতো চিকিৎসা হয়েছে। হাসপাতালে আসার সঙ্গে সঙ্গে ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। হাসপাতালে আসার আগে থেকেই অন্তঃসত্ত্বার শারীরিক অবস্থা মোটেও ভাল ছিল না, সে কারণে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কেউ চিকিৎসক কিংবা স্বাস্থ্যকর্মীদের উপর হামলা করলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেই সাফ জানিয়েছেন হাসপাতাল সুপার।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.