অরিঞ্জয় বোস: ‘মুখ ঢেকে যায় বিজ্ঞাপনে’। কিন্তু বিজ্ঞাপন কি সব সময় আড়াল তৈরি করে? তেমন তেমন ক্ষেত্রে তা হয়ে উঠতে পারে জানলাও। যে জানলায় নিজেদের মুখের পাশে উঁকি দিয়ে যায় বিশ্বও। তিলোত্তমার বুকে তৈরি হয়েছে এমনই অসামান্য দৃষ্টিনন্দন কিছু ম্যুরাল। ফুড আউটলেট ‘ওয়াও মোমো’ সংস্থার (Wow Momo) উদ্যোগে বেঙ্গল কেমিক্যালস মেট্রো স্টেশনের বহিরঙ্গ সেজে উঠেছে এমনই ওয়াল আর্টে। সেখানে কলকাতা ও তার সংস্কৃতির সঙ্গে চায়না টাউন ও চিনা খাবারের অসামান্য যোগকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
এই অপূর্ব চিন্তার পিছনে রয়েছেন শিল্পী সায়ন মুখোপাধ্যায় ও তাঁর দল। তাঁরাই রঙে রঙে ফুটিয়ে তুলেছেন ছবিগুলি। শঙ্খ ঘোষের বিখ্যাত পঙক্তিতে শহরজুড়ে তৈরি হতে থাকা দৃশ্যদূষণের যে আশঙ্কা ছিল তা আজ ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। মহানগরীর নীল আকাশও যেন ঢেকে রেখেছে বড় বড় হোর্ডিং। কিন্তু এহেন দূষণের মাঝেই চোখের আরাম দিচ্ছে নয়া এই মেট্রো স্টেশনের অভিনব সজ্জা।
কলকাতার সাংস্কৃতিক অভিজ্ঞান খুঁজতে বসলে নিশ্চিতভাবেই মনে পড়বে অন্য সংস্কৃতিকে আপন করে নেওয়ার শক্তির কথা। চায়না টাউন ও অন্যত্র খাঁটি চিনা খাবারকেও বাঙালি আপন করে নিয়েছে। তা হয়ে উঠেছে কলকাতার আপন হৃদস্পন্দনের অংশ। হলুদ ট্যাক্সি, লোকাল বাস, হাওড়া স্টেশন, হাওড়া সেতুর মতো আইকনকে মোমো ও অন্য চিনা খাবারের সঙ্গে যেভাবে মিশিয়ে দিয়েছেন শিল্পী, তা তৈরি করেছে এক অসামান্য কোলাজ। রয়েছে চিনা সংস্কৃতির অনন্য প্রতীক ড্রাগনও। দেখতে দেখতে মনে পড়ে যায় শঙ্খ ঘোষের আরেক বিখ্যাত লাইন ‘এ কলকাতার মধ্যে আছে আরেকটা কলকাতা’। শহরের হৃদয়ের গভীরে বসে থাকা সেই শহরেরই খোঁজ দিচ্ছে ওয়াও মোমো। ‘হেঁটে দেখতে শিখুন’।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.