অর্ণব আইচ: ক্রমশ বিপদ বাড়ছে ইউটিউবার রোদ্দুর রায়ের। এবার পাটুলি থানায় দায়ের হওয়া মামলাতেও তাঁকে ২৬ জুন পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। ফলে আপাতত জেলেই থাকতে হচ্ছে রোদ্দুরকে। তবে হেয়ার স্ট্রিট থানায় দায়ের হওয়া মামলায় জামিন পেয়েছেন তিনি।
হেয়ার স্ট্রিট, বটতলার পর পাটুলি থানায় রোদ্দুর রায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। সেই মামলাতে ২০ তারিখ তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিন সেই মামলাতেই জনপ্রিয় ইউটিউবারকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত।
লাইভে মুখ্যমন্ত্রীকে অশালীন ভাষায় আক্রমণ করেন রোদ্দুর রায় (Roddur Roy)। অশ্রাব্য শব্দ প্রয়োগ করা হয় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পর্কেও। যার জেরে গত ৩ জুন গোয়া থেকে রোদ্দুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে কলকাতার একাধিক থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। ব্যাঙ্কশাল আদালতে সেইসমস্ত মামলার শুনানি চলছে।
অন্যদিকে ২০২০-এর মে মাসে নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট এবং ইউটিউব চ্যানেলে একটি ভিডিও আপলোড করেছিলেন। যেখানে দেশ, দেশের সংবিধান, সেনা এবং পুলিশকে অকথ্য গালিগালাজ করেন রোদ্দুর রায়। দেশের প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধেও অবমাননাকর মন্তব্য করেছিলেন তিনি। সেই ভিডিওটি ভাইরালও হয়। এই ভিডিওর প্রেক্ষিতে বটতলা থানায় অভিযোগ দায়ের হল। এদিন সেই মামলায় রোদ্দুরের ৭ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দিল আদালত। মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করার দরুন দায়ের হওয়া মামলায় তাঁর ৭ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাংশাল কোর্ট।
এফআইআরে অভিযোগকারী জানিয়েছিলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ও বিদ্বেষ ছড়াচ্ছেন রোদ্দুর রায়। সেই কারণে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের দাবিও জানিয়েছেন। পুলিশের তরফে বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। সেই মতোই লালবাজার থেকে একটি দল পৌঁছায় গোয়ায়। আর তাঁকে গ্রেপ্তার করেন লালবাজারের পুলিশ আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.