সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার রাত থেকে বিভিন্ন জেলা থেকে শহরে তৃণমূল কর্মীদের ভিড় বাড়ছিল। রবিবার, ছুটির সকালে শহরের রাজপথে জনতার ঢল নামল। কিন্তু সকলেই ধর্মতলায় ২১ জুলাইয়ের সমাবেশেই যাচ্ছেন তো? জল্পনা উসকে দিলেন খোদ শাসকদলের এক কর্মী। দলের ক্যাম্প থেকে তাঁর নজিরবিহীন ঘোষণা, ‘চিড়িয়াখানা দুপুর আড়াইটের পর খুলবে। ভিড় না বাড়িয়ে এগিয়ে যান’!
লোকসভা ভোটে বিপর্যয়ের পর তৃণমূল কংগ্রেসের প্রথম একুশের সভা। কিন্তু ধর্মতলার সমাবেশে ভিড় হবে তো? আশঙ্কা ছিল তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরেই। তার উপর এবার প্রথম একুশে জুলাই পড়েছে রবিবার। ছুটির দিনে ধর্মতলা চত্বরে মানুষের ভিড় কম থাকে। অনেকেই বলেছিলেন, এবার সমাবেশে সংগঠিত ভিড়ের উপরই ভরসা রাখতে হবে তৃণমূল নেতৃত্বকে। কিন্তু ঘটনা হল, একুশের সমাবেশে জনসমাগমে তেমন হেরফের হল না। রবিবার সকাল থেকে কলকাতা বটেই, রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল করে ধর্মতলার দিকে যেতে দেখা যায় তৃণমূল কর্মীদের। এই যখন পরিস্থিতি, তখন এক নজিরবিহীন ঘটনা ঘটল চিড়িয়াখানা লাগোয়া পিটিএসের সামনে।
বিরোধীদের অভিযোগ, প্রতিবারই শহিদ দিবসের সমাবেশের দিন কিছু না জেনেই স্রেফ শাসকদলের খরচে কলকাতায় ঘুরতে আসেন অনেকেই। তাই ধর্মতলা নয়, বরং ভিড় বাড়ে ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানায় চত্বরে। সোজা বাংলায়, জেলা থেকে যাঁরা ধর্মতলায় সভায় যোগ দিতে আসেন, তাঁদের একটা বড় অংশই চলে যান শহরের নানা দর্শনীয় স্থানে। স্বাভাবিক কারণে বিরোধীদের এই দাবি মানতে চায় না শাসকদল। এবার শহিদ দিবসের সমাবেশে কিন্তু উলটো ছবিই ধরা পড়ল।
শহিদ দিবসে সমাবেশ উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন প্রান্তে মেডিক্যাল ক্যাম্প করেছে তৃণমূল কংগ্রেসে। মেডিক্যাল ক্যাম্পে হাজির বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা ও জুনিয়র ডাক্তাররা। রয়েছেন শাসকদলের কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরাও। রবিবার দুপুরে তখন আলিপুর চিড়িয়াখানা লাগোয়া পিটিএসের সামনে রীতিমতো মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে। দলের ক্যাম্প অফিসে দাঁড়িয়ে মাইক হাতে তৃণমূল কর্মী ঘোষণা করতে শুরু করলেন, ”আজ চিড়িয়াখানা দুপুরে আড়াইটের পর খুলবে। ভিড় না বাড়িয়ে এগিয়ে যান’! যা এককথায় নজিরবিহীন। ধর্মতলায় শহিদ দিবসে তৃণমূলের সমাবেশ এবার ২৬ বছরে পড়ল। এমন ঘটনা কিন্ত আগে কখনও ঘটেনি।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.