Advertisement
Advertisement
Open Phone Policy

‘ওপেন ফোন পলিসি’ই সুখী সম্পর্কের চাবিকাঠি? সাবধান, সমস্যার বীজও লুকিয়ে এখানেই!

সঙ্গীর সঙ্গে এই ভুলগুলো করবেন না ভুলেও।

Can an Open Phone Policy help your relationship, here is the answer
Published by: Tiyasha Sarkar
  • Posted:May 22, 2025 1:42 pm
  • Updated:May 22, 2025 1:42 pm  

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম মানেই হারিয়ে ফেলার ভয়। আজ না হয় সে আমার, কিন্তু মুহূর্তে বদলে যাবে না তো সম্পর্কের সমীকরণ? দুজনের মাঝে উঁকি দেবে না তো তৃতীয় ব্যক্তি? বর্তমান সোশাল মিডিয়ার যুগে কমবেশি সকলের মনেই এই আশঙ্কা থাকেই। ফলে প্রেমিক বা প্রেমিকা দিনভর কাদের সঙ্গে কথা বলছেন, তা ভাবায় সঙ্গীকে। ফলে পাসওয়ার্ড লেনদেনে বিশ্বাস করেন অনেকেই। ভাবেন, এতেই হয়তো লুকিয়ে সুখী সম্পর্কের চাবিকাঠি। সত্যিই কি তাই? জানেন ‘ওপেন ফোন পলিসি’র জেরে ভাঙতেও পারে সম্পর্ক?

Advertisement

‘ওপেন ফোন পলিসি’র মূল্য উদ্দেশ্য একটাই, বিশ্বাস অটুট রাখা। কারণ, প্রেমে থাকা দুটো মানুষের মধ্যে গোপনীয়তা দূরত্ব বাড়ায় বৈ কমায় না। আর সঙ্গীর ফোন অ্যাক্সেস করার সুযোগ মিললে নিঃসন্দেহে বলা যায়, দুজনের মধ্যে স্বচ্ছতার অভাব নেই। কিন্তু আর কী কী সুবিধা ‘ওপেন ফোন পলিসি’র? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা?

স্বচ্ছতা: যারা সর্বদা দুশ্চিন্তায় ভোগেন, তাদের জন্য বিশ্বাস দৃঢ় হয়। সঙ্গীকে চোখ বন্ধ করে ভরসা করতে পারেন।

কানেকশান: সঙ্গীর ফোনের অ্যাক্সেস পাওয়া মানে তার ডিজিটাল দুনিয়ায় প্রবেশের সুযোগ। তিনি কী ভাবেন, তাঁর ভাবনাচিন্তার স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়।

স্বাচ্ছন্দ্য: বর্তমানে সকলেরই একটা ডিজিটাল দুনিয়া রয়েছে। যা ভীষণভাবে রঙিন। কিন্তু তার সঙ্গে বাস্তবের পার্থক্য অনেকটাই। তাই এই সময়ে দাঁড়িয়ে সঙ্গীর ডিজিটাল দুনিয়ার ‘চাবিকাঠি’ হাতে থাকা যেন একসঙ্গে পথচলার আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়। অর্থাৎ সঠিক যুগলদের জন্য ‘ওপেন ফোন পলিসি’ বন্ধন দৃঢ় করে।

কিন্তু জানেন কি সমস্যাগুলো কী কী?

সম্পর্কে জড়ানোর প্রথম কিছুটা সময় কেটে যায় একে অপরকে চিনতে। অনেকক্ষেত্রেই দেখা যায়, দুটো মানুষ সম্পূর্ণ আলাদা। তাঁদের ভাবনাচিন্তা, জীবনদর্শন আলাদা। হয়তো আপনি প্রতিমুহূর্তের আপডেট সঙ্গীকে জানাতে পছন্দ করেন। কিন্তু হতেই পারে যে উলটোদিকের মানুষটা একটু স্পেস চান, সেখানে ‘ওপেন ফোন পলিসি’ বাধাতে পারে গোল। কারও কাছে এই পাসওয়ার্ড লেনদেনকে সর্বদা সঙ্গীর নজরদারিতে থাকা বলে মনে হতেই পারে। অনেকেই মনে করে, ফোন অত্যন্ত ব্যক্তিগত জিনিস, এটা গোপন করা বিশ্বাসভঙ্গ নয়।

বিশেষজ্ঞদের কথায়, মিথ্যাচার বা চিট করাটা কারও কারও স্বভাব। যে তা করতে চাইবেন, সেখানে ফোন লক থাকল বা খোলা, তাতে খুব একটা ফারাক পড়ে না। তাই সঙ্গীর ফোন চেক করার আগে নিজেকে প্রশ্ন করুন, কেন চাইছেন? হতেই পারে তাঁর আচরণ আপনার মনে অনেক প্রশ্ন জাগিয়েছ, তার উত্তর খুঁজছেন। কিন্তু মাথায় রাখবেন ফোনে নজরদারি চালিয়ে কোনওদিন নিরাপত্তাহীনতা কাটানো সম্ভব নয়। তাই সম্পর্কে স্বচ্ছতা বজায় রাখলে নিজেরা কথা বলুন। সঙ্গীর প্রতি বিশ্বাস রাখুন। নিজেও বিশ্বাসযোগ্য হন। এমন কিছু কথা অকারণে লুকোবেন না, যা পরবর্তীতে জানাজানি হলে অযথা হাজারও প্রশ্ন ভিড় করতে পারে। সেই পরিস্থিতি তৈরিই হতে দেবেন না। ভরসা রাখুন সঙ্গীর প্রতি। ব্যস, তাতেই কেল্লাফতে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement