সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রান্নায় কারিপাতা দেওয়ার চল শুরু হয় দক্ষিণ ভারতে। খাবারে স্বাদ আনার জন্য ব্যবহার করার জন্য সেখানে ব্যবহার করা হত কারিপাতা। এখন দক্ষিণ থেকে ক্রমশ উত্তরে এসে পড়েছে কারিপাতার ব্যবহার। বাঙালির হেঁশেলেও মাঝেমাধ্যে তরিকারিতে টুকটাক দেওয়া হয় এই পাতা। কারণ একটাই। স্বাদবদল। যে কোনও রান্নায় কারিপাতা দিলে তার স্বাদই যায় বদলে। কিন্তু জানেন কি, শুধু স্বাদ আনাই এই কারিপাতার একমাত্র কাজ নয়। মধুমেহ রোগ সারিয়ে দিতে পারে কারিপাতা। যদি সম্পূর্ণ সেরে নাও যায়, তাহলেও রক্তে শর্করার ভাগ অনেকটা কমিয়ে দিতে পারে কারিপাতা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য।
কারিপাতা ও তার উপকারিতা নিয়ে ড. ভরত বি আগারওয়ালের বইটি লিখেছেন। নাম ‘হিলিং স্পাইস’। শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যাং সেন্টার ফর হার্বাল মেডিসিন রিসার্চের গবেষক তিনি। গবেষণায় দেখা গিয়েছে কারিপাতা খেলে প্রায় রক্তে প্রায় ৪৫ শতাংশ শর্করা কমে যায়। রক্তে গ্লুকোজের সমতা বজায় রাখতেও সাহায্য করে কারিপাতা।
[ মাত্র ১০টি খালি প্যাকেট জমা দিলেই বিনামূল্যে মিলবে ম্যাগি! ]
এতে থাকে অ্যান্টিঅক্সাইড। ভিটামিন, বিটা-ক্যারোটিন, কার্বোজেলের মতো উপাদান থাকায় সহজে মধুমেহ রোগ শরীরে থাবা বসাতে পারে না। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে কারিপাতায়। এটি সহজে হজম হয় না। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে এই উপাদান। রক্তে সঠিক মাত্রায় ইনসুলিন ধরে রাখতে সাহায্য করে কারিপাতা। রক্তে গ্লুকোজের সমতা বজায় রাখে অ্যান্টি-হাইপারগ্লিসেমিক উপাদান।
তবে রান্নার মধ্যে কারিপাতা দিলে কিন্তু এর গুণ অনেক কমে যায়। তাই চেষ্টা করুন দিনে ১০টি কারিপাতা কাঁচা খেতে। তবে অবশ্যই সকালে খালি পেটে খান। ইচ্ছা করলে স্যালাডের সঙ্গেও খেতে পারেন কারিপাতা। এতে রক্তচাপ কম থাকে। রক্তে শর্করার পরিমাণও স্বাভাবিক থাকে।
[ জানেন, কলকাতার কোন রেস্তরাঁয় গেলে মিলবে ২৫০ রকম স্বাদের রসগোল্লা? ]
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.