সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিড়িয়াখানায় গিয়ে অনেক সময়ই নিরাশ হয়ে ফিরতে হয় পর্যটকদের। কখনও অনেক দূর থেকে প্রাণীদের দেখে মন ভরাতে হয়। কখনও আবার তাদের দেখাই মেলে না। তাই পর্যটকদের কথা ভেবে ভার্চুয়াল প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দিল্লি ন্যাশনাল জুওলজিক্যাল পার্ক। বিশ্বব্যাপী ১০টি চিড়িয়াখানায় এই প্রযুক্তি ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। প্রশাসনের উদ্যোগে দিল্লি চিড়িয়াখানায় ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে কাজ।
এই ভার্চুয়াল প্রযুক্তি কীভাবে সাহায্য করবে পর্যটকদের? ভার্চুয়াল হেডসেট ব্যবহার করলে দূরের প্রাণীদের নিজের অনেকটাই কাছে অনুভব করবেন পর্যটকরা। অর্থাৎ দূরত্ব ঘোঁচাবে হেডসেট। কয়েক মুহূর্তের জন্য আপনার মনে হবে চিড়িয়াখানায় থাকা হরিণটি আপনার এতই কাছে আছে, যাকে সহজেই জড়িয়ে ধরা যায়। কিংবা মনে হতে পারে দক্ষিণরায়ের পাশেই দাঁড়িয়ে রয়েছেন আপনি। কিংবা হাত দিয়ে স্পর্শ করছেন গজরাজকে, এমনটাই জানিয়েছেন দিল্লি চিড়িয়াখানার ডিরেক্টর সুনেশ। তাঁর কথায়, “ভার্চুয়াল বাস্তব এক একটা পরিস্থিতি, যা মানুষ অনুভব করতে পারেন কিন্তু আদতে তা সত্য নয়। কিন্তু সত্যিটা জেনেও তা মানুষ পছন্দ করেন। ওই মুহূর্তগুলির স্বাদ পেতে চান।”
সুনেশ জানান, পর্যটকরা চিড়িয়াখানায় এসে দীর্ঘ সময় প্রাণীদের খুঁজতেই ব্যয় করে ফেলেন। কিন্তু আগামীতে পর্যটকরা চিড়িয়াখানায় পৌঁছতেই একটি অ্যাপ্লিকেশন মোবাইলে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন। সেই সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে হেডসেট। ব্যস, এরপরই অ্যাপটির মাধ্যমে পর্যটকরা বুঝতে পারবেন তাঁর ডানদিক, বামদিক বা পিছনে ঝোপের আড়ালে লুকিয়ে রয়েছে কোন প্রাণী। শুধু তাই নয়, অ্যাপের মাধ্যমেই জানতে পারবেন আশেপাশে লুকিয়ে থাকা প্রাণীর সমস্ত তথ্য-খাদ্যাভ্যাস, আচরণ। যা এখন পর্যটকরা জানতে পারেন খাঁচার সামনে থাকা বোর্ড থেকে। কিন্তু সেখানে সব তথ্য দেওয়া সম্ভব নয়। অর্থাৎ চিড়িয়াখানা পরিদর্শনে গিয়ে যাতে আরও ভাল অভিজ্ঞতা সঞ্চার করতে পারেন পর্যটকরা সেই কারণে এই চিন্তাভাবনা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.