ধ্রুবজ্য়োতি বন্দ্যোপাধ্যায়: এখনও পর্যন্ত এমন সিদ্ধান্ত রাজ্যে প্রথম। বাংলার সমস্ত মন্দির চত্বরে মিলবে খাদির কাপড়। বাঙালির ভাবাবেগকে গুরুত্ব দিয়ে সমস্ত পুণ্য তীর্থক্ষেত্রের সঙ্গে জড়িত মানুষ ও পুণ্যার্থীর জন্য বড় সুযোগ আনছে রাজ্য খাদি ও গ্রামোদ্যোগ বোর্ড। বাংলার সমস্ত ধর্মীয় সার্কিটকে জুড়ে পর্যটনে নতুন ধারা বইয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই পর্বে বাংলার খাদি বোর্ডের নতুন এই উদ্যম বাড়তি মাত্রা যোগ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রথম আউটলেটটি হচ্ছে মায়াপুরে ইসকনের নতুন মন্দির চত্বরে। তার পর একে একে দক্ষিণেশ্বর, আদ্যাপীঠ, কালীঘাট, তারাপীঠ, কংকালীতলা, কনকদুর্গার মন্দিরের মতো সমস্ত বিখ্যাত তীর্থক্ষেত্রর পাশাপাশি নানা অখ্যাত তীর্থক্ষেত্রেও খাদির আউটলেট করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। যে সিদ্ধান্তকে বাংলা এবং জাতীয় ক্ষেত্রের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
বোর্ডের নতুন দায়িত্ব নিয়ে চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁ সম্প্রতি একটি বৈঠক করেন আধিকারিকদের সঙ্গে। সেখানেই বাংলার খাদিকে আরও গতি দেওয়ার মতো একাধিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। বাংলার খাদির বিকল্প হয় না। কিন্তু বাজারের সঙ্গে পাল্লা দেওয়ার মূল জায়গা হল বিপণন ও বাজার ধরা। প্রবল প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে সেই পর্বে পৌঁছতে অন্যতম মূলধন কর্মিসংখ্যা। একে একে সেদিকে এগনোর ভাবনা রয়েছে। তবে আপাতত যে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তাতে প্রথম ধাপেই পর্যটক বা পুণ্যার্থীদের কাছে খাদির কাপড় নিয়ে আগ্রহ তৈরি করা যাবে বলে মনে করছেন রাজ্য বোর্ড।
এই আউটলেটগুলি চালু করার মধ্য দিয়ে কিছু কর্মসংস্থানের লক্ষ্যমাত্রাও নেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান কল্লোল খাঁর কথায়, “বাংলার খাদির কাপড়ের জুড়ি নেই। রাজ্যের এমন সম্পদকে সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার জন্য যতটুকু কাজ করার সেটা হচ্ছে। পুণ্যার্থীদের মাধ্যমে খাদির কাপড় বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে।”
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.