সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শারদোৎসবের ঢাকের আওয়াজ মিলিয়ে গিয়েছে। নিভেছে দীপাবলির আলোর রোশনাইও। এখন শুধুমাত্র ছাতিমের গন্ধে ভরা স্মৃতির সরণীতে যাওয়া আসা। এরই মাঝে হেমন্তের ঝরাপাতার মধ্যে থেকে ফিনিক্স পাখির মতো জেগে উঠেছে এক নতুন উদ্দীপনা, নতুন উৎসব, নতুন হুল্লোড়। কোকাকোলা আয়োজিত ‘কলকাতা ইজ কুকিং’। ঝিমিয়ে পড়া বং কানেকশনকে নতুন ভাবে জাগিয়ে তুলেছে কোকাকোলা আয়োজিত এই কার্নিভ্যাল।
ইউফোরিয়া, ফসিলস, চন্দ্রবিন্দু ব্যান্ডের গানের উচ্ছ্বাস আর বাঙালির হারানো খাবারের স্বাদ, রীতিমতো জাগিয়ে তুলেছে বাঙালিকে। এই হারিয়ে যাওয়া বাঙালি খাবারের খোঁজ চলতে থাকবে নিরন্তর, প্রতিনিয়ত।
হ্যাংলা হেঁশেলের স্টলে উপচে পড়েছিল ভোজনবিলাসীর ভিড়। ভান্ডারহাটির চৌধুরী পরিবারের “মাছের কচুরি” আর “আলুর আচার”, খাজাঞ্চি বাড়ির জনপ্রিয় কমলালেবু মাংসের দম পোলাও, ব্রিটিশ সাহেবদের রেলওয়ে মটন কারি, ওপার বাংলার গোয়ালন্দ স্টিমার কারির মতো দুই বাংলার স্বাদ একাকার হয়েছে বাঙালির জিভে। সঙ্গে ছিল কোকাকোলার চিলড ফিলিংস।
কোকাকোলার ঠান্ডা ফান্ডাকে সঙ্গী করে হিমুর হেঁশেলের কালা ভুনা, মোরগ পোলাও-লস্ট অ্যান্ড রেয়ার রেসিপির পার্সি প্ল্যাটার-অ্যাংলো ইন্ডিয়ান প্ল্যাটার, আউধ ১৫৯০-এর বিরিয়ানি, ষোলোআনা বাঙালির বাঙালি খাবার, চাউম্যানের চিনাভোজ, ডিমওয়ালার এগ পপআপ, বিরিয়ানি ক্যান্টিন, হ্যাংলাথেরিয়ামের মোগলাই আইটেম শেষে হ্যাংলার স্টলে কোকাকোলা দিয়ে তৈরি কেক, পেস্ট্রি, সন্দেশ খেয়েছে কলকাতা। এই ফুড জার্নির মাঝে তেষ্টা মেটাতে ছিল একখানা কোকাকোলা।
কোকাকোলায় চুমুক দিতে দিতে ইউফোরিয়া, ফসিলস, চন্দ্রবিন্দু, অন্তরা নন্দী, অমিত ত্রিবেদীর গানে নিজেকে নতুনভাবে খুঁজে পেয়েছে এ শহর। সমস্ত মনখারাপকে উড়িয়ে আবারও কলকাতা রান্না করেছে, খেয়েছে, নাচ করেছে, গান করেছে। সব মুহূর্তের সঙ্গী ছিল কোকাকোলা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.