সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভেতো বাঙালিদের কাছে ভাতের কোনও বিকল্প নেই। রণ-বনে-জঙ্গলে যেখানেই থাকুন না কেন, এমন বাঙালিদের আবার ভাত ছাড়া চলে না। হাঁড়িতে চাল ফোটার সুগন্ধ পেলেই যেন মনটা কেমন করে ওঠে। শুধু ভাত নয়, চালের গুঁড়ো দিয়ে বড়া ভাজার সংস্কৃতি বাংলায় অনেক দিনের। কনকনে ঠান্ডায় আবার এই চালের গুড়োর সদ্ব্যবহার পিঠে-পুলিতে হয়ে যায়। চালের এমন অনেক উপাখ্যানই হয়তো শুনেছেন। চাল ধোয়া কিংবা চাল সেদ্ধ জলের (Rice Water) উপকারিতা ক’জন জানেন? যদি জেনে থাকেন তাহলে অবশ্য তা আপনার কৃতিত্ব। আর যদি না জানেন তাহলে জানতে অসুবিধা কোথায়?
হজম শক্তি বাড়ানো- ভাত সেদ্ধ করা জল যে শুধু হজম শক্তি বাড়ায় তা নয়, ডায়েরিয়া-সহ (diarrhea) পেটের অন্যান্য সমস্যার ক্ষেত্রেও উপকারী। কাঞ্জি রাইস ওয়াটারের কথা শুনেছেন তো? শিশুদের ডায়েরিয়া হলেই তা খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। এতে অনেক ভিটামিন এবং খনিজ উপাদানও থাকে।
মন ভাল করে– চালের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট (carbohydrates) থাকে। যা জলে ডুবিয়ে রাখলে বা সেদ্ধ করলে আরও প্রসারিত হয়। তা শরীরকে শক্তি তো জোগায়ই পাশাপাশি মনকে ভাল রাখে। যেকোনও দিন শুরু করার পক্ষে যা আদর্শ।
শরীরে আর্দ্রতা বজায় রাখে– দুঃসহ গরমে যখন প্রাণ ওষ্ঠাগত হওয়ার মতো অবস্থা তখন চাল ধোয়া বা সেদ্ধ করা জল পান করলে শরীরের আর্দ্রতা বজায় থাকে। বমি বা জ্বরের ক্ষেত্রেও এই জল খেলে উপকার পাওয়া যায়।
চুলের ক্ষেত্রে উপকারি- দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একাধিক স্থানে চালের জল দিয়ে চুলের পরিচর্যা করা হয়। এর জন্য বিশেষভাবে চালের জলকে মজানো হয়। তারপর তা ব্যবহার করা হয়। তাতে চুলে গোড়া শক্ত তো হয়ই পাশাপাশি চুলকে মসৃণ করে।
ত্বকের পরিচর্যা– বিশেষজ্ঞদের দাবি, শুষ্ক ত্বক কিংবা ব্রনর ক্ষেত্রে চালের জল উপকারি। এর জন্য কী করতে হবে? চাল ভেজানো জল আইস ট্রে-তে রাখতে হবে। চাইলে তাতে শশার পেস্ট করেও দিয়ে দিতে পারেন। ফ্রিজে কিছুক্ষণ রাখার পর আইস কিউব তৈরি হয়ে গেলে তা টোনার হিসেবে কাজে দেবে। এতে ত্বকে ভিটামিন আর খনিজ উপাদান যেমন পৌঁছাবে তেমনই রক্ত সঞ্চালন ভালো হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.