চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে গলা ভেজান না এমন মানুষের সংখ্যা নগণ্যই বলা চলে। গরম পেয়ালায় চুমুক দিয়ে গলা তো ভেজাচ্ছেন কিন্তু বিভিন্ন লিকার চায়ের স্বাস্থ্যগুণ জানেন? তা নিয়ে আলোচনা করলেন ডায়েটিশিয়ান সৌম্যেন্দু ঘোষ।
চা, শুনলেই যেন একটা তৃপ্তি, শান্তি মনে নাড়া দেয়। মনখারাপে, বিরক্তিতে, ক্লান্তিতে কিংবা হালকা গল্পের মেজাজে চা (Tea) চাইই চাই। এই শান্তির চুমুক অনেক কিছুকে মনে থেকে উগরে দেয়, আবার সুখস্মৃতিকে উসকেও দেয়। ‘চা কি আমরা খাব না? খাব না আমরা চা?’ এই প্রশ্ন মনে তো দাগ কাটবেই। শুধু মন ভাল রাখতেই নয়, শরীর সুস্থ রাখতেও চা পানের বিকল্প কিছু নেই। এখন বাজারে এসেছে নানা প্রকারের চা। দুধ-চিনি মেশানো চায়ের ককটেল নাকি লিকার চা কোনটি আপনার সারাদিনের ডায়েটে থাকলে ভাল, কেন ভাল সেটা জেনে চুমুক দিন।
হোয়াইট টি
একদম কচি চা পাতা থেকে যে চা তৈরি হয়, তাই হল হোয়াইট টি। এই চা সবচেয়ে দামি। এই লিকারের রং হালকা হলুদ বর্ণের হয়। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের মাত্রা গ্রিন টি-এর চেয়েও বেশি।
ওলং টি
এই চা, একদম কচি চা পাতা থেকেই তৈরি তবে হোয়াট টি’র চেয়ে একটু আলাদা। এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি অক্সিডেন্ট থাকে। এই চায়ের ঔষধি গুণ অনেক।
হার্বাল টি
১. সিনেমন টি: চা পাতার সঙ্গে অল্প দারচিনি গুঁড়ো মিশিয়ে পান স্মৃতিশক্তি ঠিক রাখে, সিস্ট (পিসিওএস)-এর সমস্যায় ভাল, ওজন কমায়, হার্ট ভাল রাখে, রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. তুলসি চা: সর্দি-কাশিতে তুলসি পাতা, মধু চায়ের সঙ্গে মিশিয়ে পান করলে উপকারী। ফুসফুসের কার্যকারিতা ঠিক রাখে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।
৩. লবঙ্গ চা: চায়ের সঙ্গে লবঙ্গ থেঁতো করে পান করলে তা অ্যান্টিসেপটিক, অ্যান্টিভাইরাল, অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল।
৪. আদা চা: ৪ গ্রাম আদা চায়ে মিশিয়ে পান করলে অনেক ভিটামিন, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস ইত্যাদি মিনারেল মিলবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। এটি ব্যথানাশক। টেনশন বা স্ট্রেস থেকে পেটের সমস্যা রোধ করে, অ্যালার্জি, ব্রংকাইটিস প্রতিরোধ করে। রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে।
৫. লেবু চা: ওজন কমায়, ক্লান্তি কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
গ্রিন টি
সমীক্ষা বলছে, একজন প্রাপ্তবয়স্ক, সুস্থ ব্যক্তি দিনে চার-পাঁচ কাপ গ্রিন টি পান করতেই পারেন নিঃসন্দেহে।
চা টিপস
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.