অভিরূপ দাস: এই ব্যালট বক্স (Ballot Box) নিয়ে জনসমক্ষেই চলে যেতে পারেন, পুলিশ ধরবে না। রেগে যাবে না ডান-বাম দলের নেতারা। চুরির অপবাদে সংবাদপত্রে বড় করে নামও বেরবে না। এই ব্যালট বক্স তো কামড়ে খাওয়ার! না, চোখ কপালে তোলার কিছু নেই। সোদপুরের (Sodepur) এক মিষ্টির দোকান বানিয়ে ফেলেছে পেল্লায় ব্যালট বক্স সন্দেশ।
সূত্রের খবর, সেই সন্দেশের উদ্বোধন হল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) পাড়ায়। ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের ভবানীপুরের জয়হিন্দ ভবনে তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়, সম্পর্কে মুখ্যমন্ত্রীর ভ্রাতৃবধূ। সোদপুরের এই বিশেষ মিষ্টি (Sweet) প্রস্তুতকারকরা জানিয়েছেন, শুধু চেখে দেখার নয়। এই মিষ্টির ভিতরেই লুকিয়ে প্রার্থীর ওয়ার্ডের রেজাল্টও! সে কীরকম? ভোটের ফলাফল তো একুশ তারিখ।
পুরভোটের ৪৮ ঘন্টাও বাকি নেই। তারও ৪৮ ঘণ্টা পর ফলপ্রকাশ। কে জিতবে? কারা জামানত জব্দ? টেনশনে হাত-পা ঠান্ডা। নানা সংস্থার জনমত সমীক্ষাও ভিন্ন ভিন্ন। এরই মধ্যে বাজারে এই ব্যালট বক্স সন্দেশ। সোদপুরের এক মিষ্টির দোকান ইতিমধ্যেই তা বানিয়ে ফেলেছেন। মিষ্টান্ন প্রস্তুতকারীরা জানাচ্ছেন, এই মিষ্টির দুটি আস্তরণ। অনেকটা ক্ষীর কদম্বের মতো। বাইরের আস্তরণটা তৈরি হয়েছে সম্পূর্ণ ক্ষীর দিয়ে। সেটা অনেকটা কড়া পাকের সন্দেশের মতো। আলতো করে তা ভেঙে খেলেই ভিতরে নরম ছানার পুর।
আর সেখানেই চমক। সন্দেশের ভিতরে জ্বলজ্বল করছে পুরভোটের ফলাফল থুড়ি রঙের প্রলেপ। তৃণমূল (TMC) হলে সবুজ, সিপিএম (CPM) হলে লাল আর বিজেপি (BJP) জিতলে গেরুয়া। মিষ্টি প্রস্তুতকারকরা আরও জানিয়েছেন, এই রং সম্পূর্ণ ভেষজ উপাদান দিয়ে তৈরি। মুখে দিলে কোনও ক্ষতি নেই। ইতিমধ্যেই ব্যালট বক্স সন্দেশের বরাত দিয়েছেন হুগলি যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। তাঁর কথায়, ”৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের আপামর মানুষ যা বলছেন ব্যালট বক্স সন্দেশ তার উলটো কথা বলবে না।” শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থী কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায় ব্যালট বক্স সন্দেশের প্রথম স্তর ভেঙে খাওয়ার পরেই জানা যাবে কে জিতছে এই ওয়ার্ডে। তবে এখনও এই নতুন মিষ্টির মূল্য নির্ধারণ করা যায়নি। ব্যালট বক্স বলে কথা, গুরুত্ব বুঝে তবেই তো দাম ঠিক করা হবে।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.