ছবি: প্রতীকী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মোবাইলে গেম খেললেই মোটা অঙ্কের কমিশন। টোপ গিললেই সর্বস্বান্ত। এভাবে কোটি কোটি টাকা হাতিয়েছিলেন গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খান। শনিবার সেই চিনা গেমিং অ্যাপের পর্দাফাঁস করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (Enforcement Directorate)। উদ্ধার হল প্রতারণা চক্রের কোটি কোটি টাকা। কীভাবে প্রতারণা করত এই অ্যাপ?
এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট জানিয়েছিল, চিনা মোবাইলের গেমিং অ্যাপ ‘ই নাগেটস’ বানিয়েছিলেন আমির খান। ইউজাররা গেম জিতলেই ওয়ালেটে জমা পড়ত টাকা। কোনও সমস্যা ছাড়াই সেই টাকা তুলে নিতে পারতে তারা। কম টাকা বিনিয়োগ করে মোটা টাকা ফেরত পাচ্ছিল সকলে। ওয়ালেট থেকে সহজেই সেই টাকা তুলে নেওয়াও যেত। এরপরই লাভের আশায় অতিরিক্ত টাকা বিনিয়োগ করতে শুরু করে ইউজাররা। আর তখনই শুরু হয় প্রতারকের আসল খেলা!
ইডি জানিয়েছে, পরের দিকে মোটা টাকা বিনিয়োগ করলেও লাভের টাকা আর ওয়ালেট থেকে তোলা যেত না। বন্ধ করে দেওয়া হত টাকার তোলার সমস্ত পথ। এমনকী, অ্যাপ থেকে সেই ইউজারের সমস্ত তথ্য মুছে দেওয়া হত। ইউজাররা বুঝে ওঠার আগেই প্রতারণার শিকার হতেন তারা। এই গেমিং অ্যাপের বিরুদ্ধে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতা পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের হয়। চিনা গেমিং অ্যাপের প্রতারণা তদন্তে নেমে শনিবার নিসার আহমেদ খানের গার্ডেনরিচের বাড়ি, অফিসে ইডি অভিযান চালায়।
এদিনে প্রতারণায় মূল অভিযুক্ত আমির খানের বাবা নিসার আহমেদের অতীত কলঙ্কিত বলে অভিযোগ করেছেন বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য। সাংবাদিক বৈঠক করে শমীক জানান, নিসার জীবন শুরু করেছিলেন গার্ডেনরিচের কন্টেনার ব্রেকার হিসেবে। পরে ওই এলাকার ট্রাঙ্ক ব্রেকারের কাজ করেছে তিনি।
সকালে গার্ডেনরিচের ই সেভেনে নিসার খানের ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। খাটের তলায় নজর পড়তেই কার্যত অবাক হয়ে যান তাঁরা। দেখেন প্লাস্টিকের ব্যাগে থরে থরে সাজানো রয়েছে ৫০০ এবং ২০০০ টাকার বান্ডিল। পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসারের নিউটাউন, তারাতলা হাইড রোডে অফিস রয়েছে। নিউটাউনের অফিসে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা।
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.