ফাইল চিত্র।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুস্থ, কমবয়সিদের হয়তো ২০২২সাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে করোনা ভ্যাকসিন (Corona vaccine) হাতে পাওয়ার জন্য। এমনটাই মনে করছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা তথা WHO-র প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। সেই সঙ্গে তিনি জানিয়ে দিলেন, স্বাস্থ্যকর্মী-সহ বেশি ঝুঁকির মধ্যে যাঁরা রয়েছেন তাঁদের প্রাধান্য দেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘‘অধিকাংশ মানুষই এ বিষয়ে একমত হবেন যে এটা শুরু করা উচিত স্বাস্থ্যকর্মীদের দিয়েই। একেবারে সামনের সারিতে থাকা যোদ্ধাদের এই ভ্যাকসিন প্রয়োজনীয়। তবে তাঁদের মধ্যে কারা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থার মধ্যে রয়েছেন, সেটাও খেয়াল রাখতে হবে। বয়স্করাও অগ্রাধিকার পাবেন। তারপর বাকিরা।’’
তিনি আরও বলেন, ‘‘আরও অনেক গাইডেন্স আসবে। কিন্তু আমি মনে করি, একজন গড়পড়তা মানুষ, একজন সুস্থ কমবয়সিকে ২০২২ পর্যন্ত সম্ভবত অপেক্ষা করতে হবে করোনা ভ্যাকসিনের জন্য।’’ তাঁর মতে, অন্তত ৭০ শতাংশ মানুষকে ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে গেলে সংক্রমণের শৃঙ্খলকে বাস্তবিকই ভেঙে দেওয়া সম্ভব।
২০২১ সালের মধ্যে অন্তত একটি কার্যকরী ভ্যাকসিন আসবে, এমনটাই আশা তাঁর। তবে তা সীমিত সংখ্যায় পাওয়া যাবে বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানী সৌম্যা স্বামীনাথন। কয়েক দিন আগে WHO’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার রিজিওনাল ডিরেক্টর ডাঃ পুণম ক্ষেত্রপাল সিংও জানিয়েছিলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার লক্ষ্যই হল শুরুর দিকে এমন মানুষের কাছে এই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেওয়া যাদের প্রাণহানির ঝুঁকি বেশি।
এদিকে WHO-র ডিরেক্টর টেডরোজ আধানম ঘেব্রিয়েসুস সম্প্রতি জানিয়ে দিয়েছেন, কবে কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন আসবে তার জন্য অপেক্ষা করা যাবে না। আপাতত হাতে যা চিকিৎসা ব্যবস্থা আছে তাই দিয়েই মানুষকে বাঁচাতে হবে করোনার প্রকোপ থেকে। তিনি বলেন, ‘‘যখনই কোনও ভ্যাকসিন নিরাপদ ও কার্যকরী বলে প্রমাণিত হবে, তখনই তা সমস্ত দেশে সমান ভাবে বণ্টনের ব্যবস্থা করা হবে। কিন্তু আমরা কেবল ভ্যাকসিনের জন্য অপেক্ষা করে বসে থাকতে পারি না। হাতে যা আছে তাই দিয়েই প্রাণ বাঁচাতে হবে।’’
খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ
Copyright © 2025 Sangbad Pratidin Digital Pvt. Ltd. All rights reserved.